তোমায় ছুঁয়ে দিতে ভয় করে
যেন রক্তিম গোলাপের বুকে রোদে হেসে ওঠা
এক বিন্দু শিশির।
অথবা পদ্মপাতায় খেলছ
ছুঁলেই বুঝি হারিয়ে যাবে.....


যেন এক চঞ্চল প্রজাপতি
দূর থেকে দেখেই শান্তি আমার।
যেন সবুজ ঘুড়ি
ধারালো সুতোয় নাটাইও উড়তে চায়।
যেন এক মেরু, সমস্ত মেরুপ্রভা
           এক পর্বত স্থিরতায়
                  তুমি হিমু অথবা হিমালয়।


তোমায় ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে।
ইচ্ছে করে নতজানু পরাজিত
রাজার মতো
তোমার জিদের তলওয়ারে
                মাথা পেতে দিই।
প্রেমিক-দর্শনে লতার মতো
নুয়ে আসে
ঋজু নারী,
        অপরাজিতার তেজ!
বেদনার নীল ভুলে লীন হয়
              সেঁজুতির সেঁজ।


সমস্ত দুপুর বাজের ডানায় উড়েছি
তবু নাগাল পাইনি স্তব্ধতার।
তারপর তুমি এলে শান্তি অপার......


তোমার ক্ষোভে আমি আঁতুড় শিশু
নেহাতই দুল্কা ঘাস!
প্রেমে আমি আফ্রোদিতি,
এক অসীম আকাশ।
তুমি আকাশনীল,
তুমি পারিজাত,
তুমিই অনির্বাণ.......।


স্পর্শকামী তবু কেন
তোমায় ছুঁতে গেলেই সমস্ত সাহস
চুর-চুর খান-খান?


---------------------------------------------



*সেঁজুতি ---->সাঁঝবাতি /এক প্রজাতির বন্যগোলাপ
*নীহার ---> শিশির
*দুল্কা---> দূর্বা
*সেঁজ------> সাঁঝ