অভিমানের পাহাড় যেদিন আকাশ ছোঁবে
আমি কর্পূরের মতো উবে যাবো।


জানবে না হারিয়ে গেছি
চোরাবালি স্রোতে!
একদিন, দুদিন করে সময় পেরোবে
ব্যস্ত রাস্তার পাশে ধুলো উড়ে যাবে
অহেতুক ঘূর্ণিবায়।
মুড়িমাখা কাগজ ঠোঙায় কত চিঠি আর কবিতা
মরে যাবে অবহেলায়........
এই পৃথিবী থেমে থাকবেনা।
বিরান থাকবেনা কোন মানবজমিন।
শুধু আলগোছে খসে যাবে
কিছু অভিমানী তারা......
ভেঙে যাবে আয়না রঙিন।
হঠাৎ আমায় তোমার মনে পড়বে!


তখন এই পৃথিবীর কোথাও আমি নেই,
হাড়-মাশ গিলে খেয়েছে
বুভুক্ষু জমিন।
রূহ উড়ে গেছে সাত আসমানে
সমাপ্ত হয়েছে প্রেমভিক্ষা,
অপাংক্তেয় হৃদয় স্পন্দনহীন।


অভিমানের জলোচ্ছ্বাস যেদিন
হৃদয় ছাপিয়ে যাবে,
পাথরের মতো নিরবে ডুবে যাবো
কাকচক্ষু জলে।
অলিন্দে নিলয়ে পাতাঝাঁঝি আর ঘাস,
প্রশ্বাসের মায়া তখন নিতান্ত নির্বিকার।
একটা শূণ্য ডাকবাক্স
কফিনের মতো অন্ধকার......।


শশব্যস্ত প্রেমিক আমার,
তুলে রাখো তোমার হীরক বর্ণমালা।
যখন থাকব না
ভেঙে দিও নিঃশব্দের তালা,
লিখো একটা এপিটাফ বিচ্ছিন্ন মায়ায়,
বলে দিও পৃথিবীকে,
        "এখানে ঘুমিয়ে আছে সুরঞ্জনা,
                  মেয়েটি মারা গেছে শব্দের তৃষ্ণায়!"