যুগল অভিশাপ
আমাদের সাথে সাথে চলে।
কাশ্মিরী শালের মতো জড়িয়ে রাখে
সত্যের নিষ্ঠুর শৈত্যে।
দয়া করো,
এ বিশৃঙ্খল মস্তিষ্কের উত্তপ্ত খুলিতে
শেষবারের মতো রাখো হাত।
আমার ঘুমের চাবি
ছুঁড়ে ফেলে কোথায় হারিয়ে গেছ,
ভুলে ভরা বিষাক্ত আবে-হায়াত.......


এই শেষ.....
আর কোনদিন....
কোনদিন কল্পনাতেও হবে নাকো দেখা।
কপোলে থাকবে না অশ্রুর রেখা
তোমায় নিয়ে আর কোনদিন
কোনো কবিতা হবেনা লেখা।
অন্তত এইবার তুলে নাও ঘৃণা,
কফিনের গায়ে কেন এতটা পেরেক?
যে চলে গেছে, মরে গেছে, পুড়ে গেছে,
বাঁচবে কি ভুলেও বারেক?


দূরে কোথাও বৃষ্টি হয়েছে বুঝি
বছরের শেষ বর্ষণে,
ধুয়ে যাক উনিশ-তেইশ.....
ধুয়ে যাক বিবর্ণ গল্প
শেষ হোক ধ্রুবকের বিষ।


বছরের শেষ ভোর
আর দূর থেকে ভেসে আসা আজানের ধ্বনি,
কুয়াশা আকাশে বিলম্বিত সুবহে সাদিক,
জানে আমি তোমার কাছে ঋনী।
জানে এখনো আমার বুকে
অবশেষ তোমার পায়ের ছাপ!
গলায় পেঁচিয়ে আছে ফাঁসের মতো
হে অনীল, আমাদের অভিশাপ.....।


আর কয়েক ঘন্টা বাদে
তুমি হয়ে যাবে ফেলনা দিনপঞ্জি,
নীল চুড়ি ফেলে দেব,
গুটিয়ে নেব হৃদয়ের শতরঞ্জি।
তার আগে
হ্যাঁ, তার আগে চুকেবুকে যাক সব হিসেবনিকেশ।
হাশরেও চাইনা আমি
নীল অনীল গল্পের অবশেষ।


তুমি চিরতরে ডুবে যাবে
চোরাবালি পদ্মার চরে;
আর মাত্র কয়েকটা বিষ-প্রহর......
চাইলেই পেতে আজন্মের ক্ষমা,
পেরিয়ে যাচ্ছে দ্যাখো তেইশের শেষ ভোর.........।