সঙ্গোপনের চিঠিটি নিয়ে সঙ্গোপনেই থাকি
একটু দাঁড়াও রেবা, হাতটি হাতে রাখি।
পাখীরা গেছে নিশ্চিন্ত নীড়ে কলকাকলির পর,
বাঁধতে লেগেছি নতুন আশায় শুণ্য আমার ঘর,
সন্ধ্যা নামছে বটের ঝুড়িতে অশরীরী নদীঘাটে
'পারবো' বলেই লাগিয়েছ ছুট শ্রীমন্তপুর হাটে,
রেবা, একটু দাঁড়াও, এই দেখ সাঝঁবাতি-
সন্ধ্যে আমার অনেক হয়েছে, এখন বাকি রাতি,
সঝঁবাতিটি এপাশে ওপাশে নিষ্ঠুর শীতলতা,
রাতের আধাঁরে ছায়া ছায়া নট, জোনাক বলছে কথা,
রেবা, একটু দাড়াঁও, আমার সেই কথাটি শোনো-
ঈশান কোণেতে মেঘ জমেছিল শুভরাত্রির দিনও,
বাশঁ বাগানের ঝড়েই ভেঙেছে আমার কুটীর ঘর,
তোমার উঠোনে রাশি রাশি ফুল কে রেখেছিল তারপর?
সোহাগে তোমায় ভরিয়েছে জানি জমিদারের পোঁ-
চিঠিটি ঠিকই পোস্টে ফেলেছি,ব্যত্যয় হয়নিকো।
জবাব এসেছে বিকেলের ডাকে একটি অমলতাস,
মথিত করেছে বিবর্ণ সুখে আমার বসবাস,
রেবা, এখন সময় হয়েছে, পারাণি করেছি জোড়,
শ্রীমন্তপুর হাটটি ডাকছে, ডাকছে যে রাতভোর,
'পারবো' বলেই লাগিয়েছ ছুট শ্রীমন্তপুর হাটে-
ডিঙিটি ভিড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি গোমতী নদীর ঘাটে।
থমকে দাঁড়িয়ে সময় এখানে, তিরিশ বছর পার,
লগিটি ধরেছি শক্ত চোয়ালে, এসপার ওসপার,
চিঠিটি রেখেছি বুকের পকেটে, সময় সমাগত,
আসতে পারতে রেবা, কই আসছো না তো!