মার্ জঠরে আর লাগছে না ভালো,
উস, খুশ, করছে মন,
কবে দেখবো জগতের আলো
যন্ত্রনায় কাতর মা
হাসপাতালের ঘরে,
ডাক্তার এলেন শেষে,
হাতে যন্ত্র নিয়ে.
আনন্দে আটখানা আমি,
জঠর থেকে বেরিয়ে,
চিৎকার করে কান্না,
দিলাম শুরু করে.
আনন্দে সকলে বললো চেঁচিয়ে,
মা লক্ষ্মী এসেছে,
শুক্লার ঘর আলো করে.
এলেন লম্বা সুপুরুষ এগিয়ে,
দু হাত দিয়ে নিলেন
আমায়,কোলে তুলে.
বললেন মাগো,
আমি তোর বাবা,
মুচকি হেসে, হাত পা ছুড়ে,
আমি বললাম ওঁয়া.
এরপর সকলে আমায়,
দিলো মার্ বুকে,
মার্ বুকে মাথা রেখে,
দেখলাম আমি জগৎটাকে.
আজ পাঁচই নভেম্বর,
সেই দিন এসে গেছে,
আজ কেন জানি আবার,
বড়ো কাঁদতে ইচ্ছে করে.
প্রাণ চাইছে,
আবার ঢুকে যাই,
মার্ জঠরে,
ঠকানো লোকের ভিড় যে,
আজ শুধু চারিদিকে.
এই জগৎটাকে
আমার খুব ভয় করে,
কত শান্তি ছিল,
মার্ জঠরে.
কত দিন কত বছর,
এক এক দিন করে চলে গেলো,
কেউ কি বলতে পারে?
জীবনটা সহজ থেকে
কঠিন কেন হয়ে গেলো.?
রাত পার হয়ে গেলে,
রোজই সকাল হয়,
আমার জীবনে সূর্যাস্ত হয়ে,
আর হয়নি সূর্যোদয়.
মা-বাবা আছেন এখনো,
নিয়ে এক বুক শুভাকাঙ্খা,
আজ একবার তাদের চরণে,
মাথা নত করে,
নিলাম চরণ ধুলা.
মা লক্ষ্মী আমি,
এসেছিলাম ঘর আলো করে,
যাবার আগে আবার যেনো
সেই আলো পারি দিয়ে যেতে.