একদিন খুব ভোরে ঘুম ভাঙবে পাখির কন্ঠে সাম্যের গানে
ভেসে আসা আজানের সুর আর মন্দিরের ঘন্টার শব্দের মেলবন্ধনে পবিত্র অনুভবে শুরু হবে আর একটা দিন।
খুব সকালে কিংবা সন্ধ্যায় পথের দুধারে সাজানো ঘরগুলি থেকে ভেসে আসবে পাঠরত শিশুদের অপরিণত কন্ঠ,গরম ভাতের টাটকা গন্ধ...
এমন ভারত চাই।
রাস্তার দুধারে কোনো জীর্ণ শীর্ণ শায়িত শরীর কিংবা বাড়িয়ে দেওয়া হাত নয়
সারি সারি গাছের সমারোহে থাকবে অনন্ত সবুজের হাতছানি
সাদা কাগজে নির্ভয়ে নিজের কথা লিখবে একশো চল্লিশ কোটি হাত
থাকবে না কোনো অন্ধকার গলি...থাকবে না কোনো নারী কন্ঠের অসহায় আর্তনাদ
পথ থাকবে সুসজ্জিত থাকবে আলোর রোশনাই
তুমি আমি আর সবাই একদিন এমন ভারত চাই।
একটু বেশী রাতের দিকে অফিস ফেরত একলা মেয়েটি মুঠোফোনে তার মাকে বলবে...
"মা আমি আসছি এই তো পৌঁছে গেছি প্রায়"
পাশ দিয়ে তখন হেঁটে খানিকটা এগিয়ে গেছে কিছু ছেলের দল,
অবসর প্রাপ্ত কোনো পিতা তার মেয়েকে বলবে
থাক পড়ে যত পিছুটান
'সুসজ্জিত রাজপথ ধরে আজ তুই পাড়ি দে স্বপ্নপূরণের ইচ্ছেডানায়
উড়ে যা আরও দূরে যেখানে তুই শ্বাস নিবি প্রাণ ভরে....
এমন ভারত চাই।
স্বপ্ন দেখি রোজ রাতে...স্বপ্নের ভারত আগামীতে
'জগৎ সভায় পেয়েছে আবার শ্রেষ্ঠ আসনে ঠাঁই'
তুমি আমি আর সবাই একদিন স্বপ্নের ভারত চাই।