তিনি ছিলেন প্রতিবাদী
গণতন্ত্র নিয়ে ঘোর আশাবাদী,
তাই বুঝি হতো হলো তাকে
ভোট-যজ্ঞের আহুতি?
রক্তাক্ত মৃত গণতন্ত্রের ছিন্নবিচ্ছিন্ন
লাশের ওপর রাজকীয় রাজ সিংহাসন,
এখনও রক্ত লেগে আছে তাতে?
কী আর এসে যাবে
ওই যে ওদের চোখের জলে ধুয়ে নিলেই হবে!
ক্ষমতার আগ্রাসী রূপ ঠিকরে পড়ছে
রক্তচক্ষু থেকে...
অনুরণিত দিকে দিকে
রাজতন্ত্রের বিজয়োল্লাস...
প্রতিবাদ করবে?
করতে দাও...
রক্তাক্ত অন্তিম ঠিকানায় ভাসিয়ে দিলেই হবে
ওদের জীবন নাও!


হায় রে সাধারণ!
ঘুমিয়ো না আর...ওঠো জাগো
শক্ত হাতে ধরো হাল
গর্জে উঠুক প্রতিটি কন্ঠ প্রতিবাদী ভাষায়,
মৌনমিছিলে দুরু দুরু বুকে
হাঁটবে বলোতো...আর কতো কাল?


সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়াবার
জ্বালাও প্রতিবাদের আগুন...
অন্ধকারের যে দেওয়ালে ঠেকে গেছে পিঠ
সময় এসেছে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার!
কেড়ে নিল যারা সিঁথির সিঁদুর...
নিছকই খেলার ছলে,
নিষ্পাপ অবুঝ শিশুরা হলো পিতৃহারা
প্রতিবাদের আগুনে তারা হোক পুড়ে ছারখার...
নোংরা খেলাটা খেলতে দেওয়া যাবে না আর
ছিনিয়ে নিতে হবে এবার
গণতন্ত্রের ন্যায্য অধিকার!


ওঠো...জাগো,ঘুমিয়ো না আর!