বিদয় বেলা বললাম মা,,
তোমার কোলে আর রইতে পারলাম না।
যাই চলে বহু দুরে,
মায়ার বদন ছেড়ে,
তোমার মাঝে রেখে গেলাম -
              আমার জীবনের কাবা।
আদরের ভাই বোন, জন্মদারি বাবা।


মায়ের চোখে দেখি পানি,
শুকনো বাবার বদন খানি।
ভাই বোন উদাশ উদাশ,
তাকায় শুধু আসপাশ।
ধিরে ধিরে হইলাম কাতর,
ফের হৃদয়টাকে করিয়া পাথর।
তার পর দাওয়া পেরিয়ে ছাড়লাম ঘর।
এইতো আমি হয়ে গেলাম পর।
দিল থেকে বলি বির বিরে,
না জানি কখন আসিবো ফিরে।
এর পরে আঙ্গিনায় পদচরণ
পাল্টে গেলো মনের ধরন।
সেদিনও খেলেছি কত খেলা,
তার কথা কেমনে যাবে ভোলা।


ভাবিতে ভাবিতে ছাড়লাম বাড়ি,
মায়ার বাদন দিয়েছি ছাড়ি।
নড় বরে সাকটা পারালাম -
এই বুঝি তারে হাড়ালাম।
নিচে তাকিয়ে দেখি ঘোলা জল,
এই তো কিছু ক্ষন আগে করেছি গোসল।
হে আমার বাহুধর ছোট খাল,
হোয়ে যাস একে বারে পরিমল।


ধিরে ধিরে মেঠো পথে চলি,
মনে মনে শুধু যে বলি।
তোর বুকে কভু আর হবে না,ক চলা
আবার কি আসিবো ফিরে যায় না তো বলা।
দু ধারে দুর্বা ঘাস বলে হতবাগা,
তোর বিহনে কে পারাবে মোর -
               কোমল কচি ডগা।


তার পরে মাঠ তার পরে হাঠ,
তার পরে ওই নদীটার তট।
একে একে সব ছেড়ে গেলাম -
ছাড়িলাম নিজ গ্রাম।
ছাড়িলাম মাটি ছাড়িলাম দেশ -
ধিরে ধিরে অবিরাম।


বিনদেশে যখনি পরিলো মোর ছায়া,
তখনি ছাড়িলাম স্বদেশের মায়া।
কিন্তু মাটির গন্ধ ভুলিতে পারি না -
              শুধু নাকের ডগায় চাপে।
বাংলার কথা মনে হলে-
            হৃদপিন্ড কাপে।।