তোমার চাহনির ভাষায়
অপ্রতিভ শিশুর আরক্তিম রূপের মতো-
আমার মনের অস্থির কম্পাস আন্দোলনের সম্মুখীন।


মায়ের মুখের ভাষার পরমানন্দের ভগ্নাংশ,
তোমার অন্তর্নিহিত প্রবোধের ব্যঞ্জনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আমার খেয়াল-খোয়াবে ইলাহি জ্যোতির প্রবাহে
ইবাদতের মাকানে আকাঙ্ক্ষিত রক্তচন্দন ফোঁটে।
যেখানে বেহেশতি ফুলবাগিচা আর অমৃতের নহরে,
স্বজনদের নির্মোহ হাসিমুখে-
ঘোর থেকেও আরও গভীর সভ্যতাভিমানী তোমার ঘ্রাণ
আমার নব্য প্লেটোবাদ চর্চার সাথী হয়।


চেতনার প্রতিটি স্তরে, যেকোনো মৌসুমে-
আউশ, আমন কিংবা বোরোর ফসলে
সেচের সাথে যত্ন আর পরিচর্যার ভাষার রতি যেন
তোমার চন্দ্রমুখী ভঙিমার সুখদ বাণীর প্রকাশ ঘটায়।
তোমার মুখে মানুষের আবহমান তিতিক্ষা কিংবা যুদ্ধের ইতিহাস
প্লাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্ব আমাকে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেয়।
হাজার হাজার ফোটন,
আমাকে করে আলোড়িত, বাধ্যতামূলক প্রণয়াসক্ত।


বিহঙ্গম হওয়ার ইচ্ছা জাগিয়ে,
অস্পৃশ্য আলোর এই উৎস লুকিয়ে যায়,
আমি সেই মরম ব্যথা লিখি আধো ভাষায়,
যে ভাষার নির্মাণ ভালোবাসায়।