** দুঃখিত অনেক বেশি প্যাঁচালাম বলে। ক্ষমা করবেন।
*** আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা, সম্মুখ যুদ্ধে আমার দুই চাচা শহীদ হয়েছেন স্বাধীনতার জন্য। তবে বাবা কাগজের যোদ্ধা মানে "সনদ পত্র" নয়। অনেক বার বলেও বাবাকে দিয়ে সনদ উঠানো সম্ভব হয়নি। যতোবার বলেছি ততোবার বাবা একটি কথাই বলতেন "কোন কিছু পাবার আশায় যুদ্ধ করিনি, একটা দেশ, একটা মানচিত্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম তা আমরা পেয়েছি। ঐ কাগজ বিক্রি করে তোমরা যদি কিছু পেতে চাও সেটা হবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় লজ্জার বিষয়। যদি পারো নিজ যোগ্যতায় করো যেনো তোমাদের নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি। বাবা গর্ব নিয়েই চলে গেলেন পৃথিবী থেকে। বাবার জন্য সকল বন্ধুর কাছে দোয়া চাই, দোয়া করবেন সবাই।


** বাবার মৃত্যু:২২’নবেম্বর-২০১২, ৮’অগ্রহায়ণ-১৪১৯, ৭’মহররম-১৪৩৪।



বাবা আমার ছিলেন যেন
বটবৃক্ষের ছায়া
বুকের ভেতর পূর্ন ছিল
পৃথিবীর সব মায়া।


সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে
বাবা গভীর ঘুমে
দু’দিন আগেও ছিলেন বাবা
গোছানো নিজ রুমে।


বাড়ী ফিরতে হলে দেরি
ফোন দিত সে আমায়
মাটির ঘরে বাবা ঘুমায়
পাতলা সাদা জামায়।


আশে পাশের সবাই বাবা’র
ছিলেন অনেক আপন
সাদাসিধা সহজ-সরল
করতেন জীবন যাপন।


বুকের মধ্যে ছিলো যেন
ভালবাসার খনি
তাইতো বাবা ছিলেন যেন
সবার চোখের মনি।


বাবা তুমি দেখতে কি পাও
কষ্ট কতো বুকে
হাহাকারে বুক ভেঙে যায়
কাঁদছি তোমার দুঃখে।



মুক্তিযোদ্ধা বাবা আমার
অসীম সাহস বুকে
সুখে-দুখে সবাই মিলে
ছিলাম মহা সুখে।


মাথার উপর ছিলেন সত্যি
বটবৃক্ষের ছায়া
তবুও কেন গেলেন চলে
ছেড়ে সবার মায়া।


তোমার শিক্ষা যেন থাকে
আমার সকল কাজে
তোমার স্বপ্ন থাকে যেন
সকাল থেকে সাঁঝে।


ঐ আকাশের তারা হয়ে
দেখে রেখো মোরে
যাইনা যেন ভেসে কভু
উল্টো স্রোতের তোড়ে।


.............................................
স্বপ্নবাজ
২৯’নবেম্বর-২০১২ইং
ঢাকা।