শত পাখির গুঞ্জনেও আমি জাগবোনা একদিন এই পৃথিবীর বুকে,
মেঘের আরালে লুকালেও আমি খুঁজবনা ঐ চাঁদটাকে।
কত রঙের ফুল ফুটেছে উঠোনের কোনে তাও আমি দেখবোনা,
গোধুলি সন্ধ্যায় ছড়ানো সূর্যের লাল রং আর গায়ে মাখবোনা।।


শিশির কনা খেলাচ্ছলে কিভাবে হারায় তাও আমি ভাববোনা,
দিঘীর জলের সাথে আকাশের কি এত মিতালী তাও জানতে চাইবোনা।
যে মেঠোপথে হাঁটলে পথটা নিজের মনে হয় সে পথেও হাঁটবোনা,
সোনাভরা দিগন্ত জোড়া মাঠের সীমানাও আর খুঁজবোনা।।


বৈশাখি ঝড়ে মগডাল থেকে পরা আমও কুঁড়োবনা,
বর্ষায় ভেজা কদম ফুলও আর আলতো হাতে ছুঁবোনা।
দূরের ঐ বিল থেকে শাপলা তুলে মালাও গাঁথবোনা,
চৈত্রের প্রখর রোদে ক্লান্ত হয়ে আর বাড়ি ফিরবোনা।।


আমি সত্যিই একদিন এই মায়াময় ধরণীর বুকে থাকবোনা,
হারিয়ে যাবো দূর অজানা অচেনা এক দেশে।
হয়ত সেদিন নিকটেই যেদিন বিদায় নেবো লাশের বেশে,
বিদায়ক্ষনের পরে কেউ রাখবেনা মোরে মনে ভুলে যাবে অবশেষে।।


০১-০৯-২০১৫