আমি শ্মশানচারী ভুবন বিদারী কালের অতলে ডুবে যাওয়া কেউ,
মনের কোনে বৃষ্টি ভেজা বর্ষার দিন কল্পনায় নদীর বুক জুড়ে খেলা করা ঢেউ।
অগ্নি দাহনে দুহিত হবে মম দেহ খানি কত সাধ সব মিটিবে নিরাশার গহ্বরে,
কত পথ হেঁটে পেরিয়েছি জলন্ত সূর্য তাপে ক্লান্ত দিন আহারে অনাহারে।।


সেই কবে সূচনা লগ্ন কান্নায় শুরু হয়েছিল মোর মা জননীর কোলে,
ঝরিয়ে সুখের রিমঝিম বৃষ্টি কলতান সুরে সুরে গেয়ে অবুঝ মানব ছলে।
তারপর হতে দু'মুঠো আহার অন্নজল ক্ষুদিত হৃদয়ে জাগাতো শান্তি জোছনা চাঁদের মত,
বুদ্ধি বিবেকের মিম্বারে দাড়িয়ে শক্ত পায়ে শিখেছি পথ চলা যত।।


বসন্ত সময়ে দেখেছি ফুলের গন্ধে আবৃত্ত কলিগুলোকে ধীরে ধীরে পূর্ণতা পেতে,
তারি সান্নিধ্যে কালো ভোমরা ছুটিতো রোদ্রমাখা দুপুর ও প্রভাতে।
কোন অজানায় মধুমতী নামে শাওন ভাদ্রে ভরা যৌবনে ছুটিত নদী ওই,
আজি প্রাণহীন দেহেও তার বক্ষে নাও ভাসিয়ে যেতে চাই মোর বইঠা খানি তবে কই?।।


২৩-০১-২০১৬