টেবিলের বাম পাশে ইতিহাস বইয়ের ভাজে,
ইতিহাস হয়ে আছে কালো কালো হরফের ধূসর চিরকুট।
কতটা আবেগময় ছন্দ সাজিয়ে ছিলাম ভালবাসার কবিতায়,
শুধু তোমার জন্য চিরকুটগুলো লিখতাম রাত জেগে দীর্ঘ আশায়।।


লেখা আর রাত্রি শেষ হতো তবে শেষ হতোনা কথাগুলো,
ভোরের নীলাভ জাগ্রত হলে লোকভয়ে বইয়ের ভাজে ঠাঁই পেত চিরকুটগুলো।
তারপর হতে শুধু ভাবতাম প্রথম দেখাতেই হাতে গুঁজে দেব তোমার,
কিন্তু মনের গহীন অরণ্যে ঝড়ের মত শাখা ভাঙ্গতো আমার।।


তারপর যখন সামনে দাঁড়াতে গোলাপী সরু ঠোঁট,
মৃদু মৃদু হাসি ছড়াতো আর কথা বলতো চোখ।
তবে আমি তাকাতে পারতাম না দেহ যেন নিষ্প্রাণ হতো,
শুধু হাত বাড়াতে চাইতাম চিরকুটের প্রতি তবে হাত দু'টো বরফের মত স্থির থাকতো।।


ভয়ে!
তারপর মিথ্যে অযুহাতে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতাম,
হাফ ছেড়ে বাঁচতাম তবে নিজেকে যুদ্ধ মাঠ ত্যাগী ভাবতাম।।


তারপর প্রথমে এসেও সেই পিছনের বেঞ্চিতে বসতাম,
যেন তোমার চুলগুলোর সাথে কথা চলে অবিরাম।
অন্যমনের বলে কতবার যে শাষিত হয়েছি বেত্রাঘাতে,
তুমি পিছনে তাকাতে আর মায়াময় চোখে কি যেন বলতে।।
অথবা ধিক্কার!


তুমিতো বুঝতে কি ছোট্ট বাক্য বলতে চাই শুনতে চাই,
তবে কেন তুমি বলতেনা তুমি ছাড়া কেহ নাই কিছু নাই।
জানতাম তুমি লজ্জাবতী লজ্জা তোমার ভূষণ তুমি লজ্জা লাল,
চিরকুট যদিও লজ্জাহীন তবে আমি ভয়ের মাঝি ভীতু মৃত কঙ্কাল।।


তুমি গোলাপ রাঙা তাই কতবার যে গোলাপ সম্মুখে বলেছি সেই কথা,
তবে সত্যিকারের তুমি গোলাপের কাছে আমার সব হতো ব্যর্থ অযথা।
ধীরে ধীরে সময়ের পথে হয়ে গেলে তুমি অন্য কারো প্রিয়া,
তাই সেই সব ব্যর্থ ধূসর চিরকুট হাতে আজও কাঁদে মোর হিয়া।।


০৬-০৮-২০১৬