ওই পথ আমাকে ডাকে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যে পথ জাগে,
যে পথ রক্তিম বর্ণে রঙিন ঝাঁজালো শ্লোগানে মুখর থাকে।
চেগুয়েভারা, লেলিন অথবা সানইয়াৎ যে পথে বহু আগেই নেমেছে,
ওই পথের পিচ থেকে এখনও গন্ধ আসে লুথারের রক্তের অথবা পথটা ম্যান্ডেলার ঘামে ভিজে আছে।।


এইতো মাত্র এই পথে নেমে অমর হলো লিংকন, গান্ধিজী,
ভালোবাসা ছাড়া কোন দায়িত্ব এই পথে আনতে পারেনা তাইতো এপথে পাই ধদীচি। থেমে কিন্তু নেই এই পথের পায়ে পায়ে চলা মিছিল,
এইতো সামনের সারিতেই তিতুমীর, তৈমুর খোড়াটাও নেই নিরিবিল।।


মৃত্যুর পরেও জীবনের জয়গান আসে এই পথের বুক থেকে,
মুজিব জোয়ান জিয়া এই পথে আল্পনা গেছে এঁকে।
রফিক সালাম বরকতরাও এইপথে দাবী নিয়ে বের হয়,
এই পথ ভারি কোলাহল আর বেজায় উত্তপ্ত যেন চরম তাপে শিসা গলে রয়।।


লু-হাওয়া বয়ে যাওয়া মরুর বালিগুলি এই পথেই উড়ে, সূচনার মহাপুরুষের উটের পায়ে লেগে যেন অসত্য পিছনে ঘোরে।
মীর কাশিম, বিন্ ইউসুফ এই পথে ধরে ছুটেছে ধরণীর এইপার হতে ওইপার,
এই পথেই তীক্ষ্ণ খুরে লাফিয়ে সা'দের ঘোরা চলেছে টাইগ্রিসের খরস্রোতকে করে অসার।।


এইপথ আমাকে নব উদ্যমে জাগার নৃত্যে মাতাল করে,
আমি যেন মৃত্যুর দরজাকে চূর্ণ করি পদাঘাতে না ভয়ে না ডরে।
বুকে-পিঠে সাদা চুনে মুক্তি লেখা লিখে দাবী নিয়ে আসাদ দু'হাত তোলে,
সদা ঝলকানি দেয় হিংস্র ঘাতকের বুলেটে ঝরে পরা চোখ লোহিত নীলে।।


এইপথের প্রতিটি ইঞ্চি যেন মহা পবিত্র জন্মে হাসা শিশুর মত,
অসত্য অন্ধত্বের আবরণে ঠাঁই নেয়া অনিয়মগুলো ধুঁকে মরে আছে যত। শুধু এইপথে ক্ষুদিরাম আত্মাকে উজাড় করার ইচ্ছা দেখায়,
অকেজো হয়ে শুয়ে মরায় কতটা ঘৃণ্যতা আছে তা এই পথ শেখায়।।


শুধু কাপুরুষের সারথীরা এই পথকে বলে ভিষণ যন্ত্রনা,
এইপথ বলে শিশুর কঁচি বুকে কেন তবে ক্ষুধার জ্বালা তবে দেও শান্ত পথের মন্ত্রনা। অস্থির অশান্ত পথই স্থিরতা আনে শেষে ফিরে শান্তির বাহক বেশে,
আবার এই পথে যুদ্ধে যাবার তীব্র ইচ্ছায় নজরুল উঠে হেসে।।


২২-০৮-২০১৬