সেই ছোট্ট ছেলেটি আজ আর নেই আগের মত,
পথের রাজা পথের ভয় অপরাধ করে আছে যত।
হাতে তার আর শোভা পায়না বই জ্ঞানের,
ওই দু'টো হাত আজ হয়েছে প্রাণ হরণের।।


আজ আর বিকেল হলে মাঠে ছোটেনা খেলায় মাতেনা,
সন্ধ্যা হলেই আজ আর ঘরে মায়ের বুকে ফিরেনা।
সকাল হলে পাখির ডাকে আজ আর উল্লাসে জাগেনা,
ক্লান্ত দুপুরে আজ আর সাঁতারে জল ঘোলা করেনা।।


এখন তার প্রতিটা মুহূর্ত হরণ আর সংঘাতময়,
নেশাতুর দেহ চোখ দু'টো লাল অগ্নিময়।
নরম হাতে আজ শোভা পায় মরণাস্ত্র,
অন্যায় আর ন্যায় সমান মানে কাড়ে বস্ত্র।।


ভরসা নেই আজ আর সুন্দর জীবনের,
এক উদ্দেশ্যহীন পথিক অচেনা ধ্বংস পথের।
চাহনি আজ আর মায়া ছড়ায় না,
কণ্ঠ আর আর সুর ঝরায় না।।


একদিন কাছে ডেকে!
জানতে চাইলাম কেন এ পরিণতি তোর?
আগেতো ছিলি ভালো বন্ধু কাছের মোর।
কাঁধে রেখে হাত ফেলে দীর্ঘঃশ্বাস কহিলো মোরে,
এ বুকেতে চিতা জ্বলে পুরে পুরে ছাই কেমনে বলি তোরে?।।


এক মায়া রমণীর চোখের খাদ্য হয়েছিলাম,
শুশ্রী কথায় মিথ্যে আশায় স্বপ্ন বুনেছিলাম।
দেখাতো মোরে রঙিন স্বপ্নময় প্রেমের আকাশ,
কল্পনা জুড়ে ছিল সে সর্বক্ষণ হয়ে বিশ্বাস।।


কি দিন কি রাত মুখছবি তার আঁকতাম,
প্রাণের মায়া ভুলে তুচ্ছ করে তারেই চাহিতাম।
বলেছিলো মোরে কোনদিন কোনকালে হবেনা পর,
মোরে নিয়ে ঝড়ের প্রতিকূলেও বাঁধতে রাজি ঘর।।


আর কর্মে ধ্যানে মনে প্রাণে ওই এক নাম,
ভালোবাসা পেতে তার কত যে ছুটিতাম।
তার তরে নিজের আহার লুকিয়ে তাকেই দিতাম,
রক্তে জলে মিশিয়ে বাতাস তার তরে ঘুড়ি উড়াতাম।।


সে মোরে দেখাতো প্রাণের নতুন জগৎ প্রেমের ভূবন,
কিন্তু তুচ্ছ লোভে করে মোরে পর অন্যরে করেছে আপন।
মোর চোখের আলো কেড়ে কণ্ঠের স্বরে দিয়ে বন্ধকতা,
দেওয়া কথা করে ব্যাথা করিলো নিঃস্ব হারালম স্বর্বসত্তা।।


আমি ধনকুবের নই বলে করেছে শতবার শতকথায় অপমান,
বুকে জ্বেলে অগ্নি দাহন বেঁধেছে নতুন সংসার নব প্রাণ। ভুলে গেলো সব নিমেষ তুচ্ছকালে হলো মোর ভালোবাসার পরাজয়,
স্বার্থ লোভি সে অন্যের কাছে বিকিয়ে মন প্রাণ করে নিলো নিজের জয়।।


করেছি অনেক অনুনয় বিনয় একটিবার চেয়ে সুযোগ,
বোঝেনি মোরে বুঝেছে শুধু অর্থবিলাশ ভোগ।
জীবনের আশা ছেড়ে আপন পথ ভুলে,
মিশিয়াছি আজ এই সর্বগ্রাসী দলে।।


বললাম কারো জন্য থেমে থাকেনা জীবন,
নতুন করে শুরু হোক সব রাঙিয়ে আত্মভূবন।
যে পথে এসেছি আমি ফিরিব কেমনে করিব পন,
তিলেতিলে মোর বিশ্বাসখানি ভেঙ্গে দিলো
ভাবিতে পারিনা কাহারেও আর আপন।।


১৫-০৯-২০১৬