নিস্তব্ধ রজণীর অবসানে
উন্মিলিত চোখে নামে ধোঁয়াশার ভোর
                   থেকে যায় নিশি-তন্দ্রার ঘোর
শূল হয়ে ফুঁটে হৃদয়ের মাঝখানে
                  সে তো নাই, নিয়েছে বিদায়
                  নিশিথের চুম্বন-চোর।


জোসনার আলোক সাগরে তরীখানি
                                        ভেসেছিল তার
                    জোনাকিরা কেঁটেছে সাঁতার
বুকের ঘাঁটে এসে ভিড়েছিল তরী
                    অধরে ছূঁয়েছিল আঁখিপাতা
                                নিবেশিত তনুলতা
সম্মোহনে ডুবেছিল-ভেসেছিল বারেবার।


নীরব শিশির পতনের খেলায়
                    গোপনেই হলো লীণ, দিলো ফাঁকি
                    বুকে তুলে বেদনার রাখী
কেটেছে যামিণী তার সুখ-সংহারী হেলায়
                     সময়ের স্রোতে ভেসে গেছে একা
                      বালুতটে রেখে গেছে স্মৃতিরেখা
বিজনে পথ চেয়ে চেয়ে তার
                       আশার গলিতে হয় ক্ষণ পার
শুনি মর্মর ধ্বনি ঝরা পাতার দেশে
                       ওই কে এলো ছুটে এলোকেশে
বিরান হাওয়ায় ভাসে কার গুনগুন সুর
                                            এলো কে ব্যথাতুর
কার পায়ের আওয়াজ ধেয়ে আসে
না, না কেউ নহে, কারো ছায়া
                                            পড়ে নাই ভুলে
                                             এই পথে-ধূলে
হৃদয়ের দশদিক দিয়া..
আমি একাকীই আছি বসে ব্যথা আগুলিয়া।।