বুলি শিখে কথা বলে


কিশোর বাবুর খুশি মেলে


যে কালে ময়না পালে


পাড়া গাঁয়ে সাড়া ফেলে।


বাম হাতে ঘুড়ি নিয়ে


ডান হাতে খাঁচা ধরে


কিশোর বাবু কথা বলে


ছুটে যায় দিঘীর পাড়ে।


খানিক পরে ঘুড়ি উড়ে


গগণ পানে ছো ছো করে


যায় ছুটে যায় রশি ছুটে


কিশোর বাবু খাঁচা ফেলে


দৌড়ে যায় নদীর ঘাটে।


প্রিয় সাথী সোহাগ এসে


খাঁচা দেখে হেসে ফেলে


খুশির ছটে ময়না নিয়ে


সোহাগ করে বুলি বলে ।


সারা বিকাল কেঁদে - কেঁদে


কিশোর বাবু অর্ধ - মরা


বাবা - মায়ের বকা খেয়ে


মনের জ্বালায় সুখে খরা।


সন্ধ্যা হলে সোহাগ আসে


দুই হাতে খাঁচা নিয়ে,


ফিরিয়ে দেয় বুলি পাখি


প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় দিয়ে।


যে কালে ময়না পালে


ভুলে কি কেউ কস্মিন কালে?


বারংবার চায় ফিরে যেতে


অপূর্ব স্বাদে পঞ্জিকা  সালে।