বৃষ্টি ঝরার শব্দ শুনবো বলে
একটা টিনের চালের ঘর চেয়েছিলাম মায়ের কাছে,
মা সেদিন খুব কেঁদেছিল,
ছেলের আকাশ ছুঁয়ার স্বপ্নের কথা শুনে,
রোদের প্রখরতায় ঝলসে যাবার ভয়
দেখেছিলাম সেদিন মায়ের চেহারার কালো বাদলে;


ছোট বেলার আমার ছোট ছোট বায়না গুলো
বাবার ঘামের জলে সাঁতরে স্বপ্ন হয়ে স্পর্শ দিত
রাতে ঘুমের ঘোরে,
কখনও কাঁচা পিয়াজ আর সরষে তেল মাখানো ভাতের থালে
খুঁজে পেতাম না বলা অনেক আকাঙ্ক্ষার কঙ্কাল,  
পিতার মাঝ পিঠের ব্যথা টা বেড়ে গেলে বুঝতাম
লাঙ্গলের ঈষ আমারে ডাকে,
সমস্ত স্বপ্নের বদলে
এক থালা ভাত মানে বেঁচে থাকার গ্যারান্টি;


মা যখন মাথায় তেল মাখিয়ে দিত
আমি চোখ বন্ধ করে তাঁর ঘামের গন্ধে খুঁজে পেতাম
একটা রঙ্গিন আকাশ,
যে আকাশে আমি চাঁদ, আমি নক্ষত্র,
তাঁর ছেঁড়া আঁচলের অসংখ্য ছিদ্র গুলোর নির্বাক অপেক্ষা ছিল
একটা নতুন শাড়ী আর একটা স্বপ্নালী ভোর,
ছেলের হাত ধরে একদিন তাঁর ঘরে আসবে সুদিন
যে সু দিনের ঠিকানার খুঁজে পঁচিশ বছর ধরে
আমি মরুর তপ্ত বালুর পাঁজরে ঘাম ঝরাই বৃষ্টির মত
ক্লান্তি হীন,


প্রতিদিন ভোরে প্রত্যাশার সীমানা খানিকটা বেড়ে যায়
মা বাবার, ভাই বোনের, স্ত্রী সন্তানের...
নিজের স্বপ্ন গুলো চাপা পড়ে থাকে
কফিনে পড়ে থাকা লাশের মত।