স্মৃতি যদি থাকতো রাখা
ডাইরি কিম্বা খাতার পাতায়,
কালি ঢেলে দিতাম মুছে
মুক্ত হতাম সকল ব্যথায়।
যে আমাদের বুকের মাঝে
বন্দি থাকে হৃদয় জেলে,
সে তো মুক্ত হয় না যেনো
বন্দি দশার দিন ফুরালে।


জীবন নাশা ভালোবাসায়
যে আবদ্ধ প্রেমের জালে,
অন্য কারো সঙ্গে পরিণয়ে
কেমন লাগে বিদায় কালে।
যারে আঘাত দিয়ে শেষে
ভাষিয়ে দিলে প্রেম যমুনায়,
সে কি নাগাল পায় রে আবার
মিলনেরই সুখ কিনারায়।


চার বৎসর বিবাহীত নারী
পাইনি যে সন্তানের সুখ,
কেমন বাজে বুকের মাঝে
তারে দেখে সবে ঘুরায় মুখ।
আঘাত জ্বালা সইতে নারে
যার কান্না অমাবস্যা নিশি,
কোন পরশে আবার সে
হাসবে পূর্ণীমার ঐ হাসি।


তার ব্যথা কে বুঝবে বলো
যার কন্যাদায়ের পাহাড় চাপা,
বরের বাপের পাওনা গুলি
ইন্চি, ফুটে যায়  না মাপা।
সম্প্রদান কালেও আবার
দাবি করে পাওনা বাকি,
কন্যা পিতার ব্যথাতুর মুখ
কেমনে তার চিত্র আঁকি।


বুঝবে ব্যথা কেমন লাগে
পিতার তরে ঔষুধ আনি,
শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করে
খুলতে গিয়ে ছিপি খানি।
বজ্র আহত তড়িৎ সম
নির্বাক প্রায় মুর্তি যেন,
আকুল পাথার হৃদয় ব্যথা
কারে বলে বুঝায় হেন।


মন্ত্রী, নেতা, অফিস অফিস
যে বেকার ফিরে নিরাশ বুকে,
রোগ জীর্ণ মাতা পিতায়
কেমন করে রাখবে সুখে।
কান্না ব্যথা বিচ্ছেদ বেদনা
জন্ম, মৃত্যু, দু:খ, জ্বালা
জীবনেরই অঙ্গ জেনো
হাসি আনন্দ প্রেমের খেলা।