করুণ সুরে কাঁকড়া বললো...
          "শুন ওরে ভাই কেঁচো
যন্ত্রের চাকায় পিষ্ট হয়েও
           কেমন করে বাঁচো?
  আমার তো ভাই বেহাল দশা
          পরিবারও হলো শেষ,
  চাষিরা এভাবে যন্ত্র চালালে
              বংশে রবে না লেশ,
  তিনটে পা গেল কাটা
                 বেজাঁই কষ্ট ভাই,
  তবু চাষির ধান বাঁচাতে
            পোকা মাকড় খাই।"
  কোন রকমে সোজা হয়ে
             বললো কেঁচো উঠে...
  "সেদিন চাষির ট্রিলারে আমার
            কোমর গেছে কেটে,
  অসহ্য এই কষ্ট নিয়েও
               কোন রকমে হাঁটি,
  চাষির  জমি উর্বর করতে
              তবু দিনরাত খাটি।"
  চারদিক হতে ছুটে এলো
                  চুনো পুঁটির দল,
  'বাঁচাও বাঁচাও'  করে সবাই
                করছে কোলাহল।
  "আজকে কৃষক বিষ ঢেলেছে
                 মরবে বলে ঘাস,
  অসহ্য এই বিষের জ্বালায়
                আমরা হচ্ছি লাশ।
   আমরাও তাদের উপকারি যে
           বুঝছে না কেনো লোক!
   যে জীবাণু খেয়ে আমরা বাঁচি
                তা ধানেরই সহায়ক।"
   সেই বিষেই ছটপট করছে        
                    ক্ষেতের যত ব্যাঙ,
   ক্ষেত থেকে আজ উধাও হলো
                   শোল, মাগুর, চেং।
   একটু দূরে বক মহারাজ
                         ওষ্ঠাগত প্রাণ,
   বিষাক্ত চুনোপুঁটি খেয়ে
                  গাইছে বিদায় গান।
   সবাই মিলে দিল অভিশাপ
                   জমিয়ে বুকে ব্যথা...
   "মানুষের জীবনে মৃত্যুর আগেই
                   মৃত হবে মানবতা"।