আশি বছরের প্রফুল্ল রজক
পঁচাশি বছরের বৌদিও,
একটি মাটির ঘরে দুজনার বাস
বংশে কেউ নেই যদিও।
দুজনেরই দিনপাত চলে
বার্ধক্য ভাতার টাকায়,
প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ হলে
তারা শুধুই অসহায়।
বর্ষার জল গড়িয়ে এলো
খড়ের ছাউনি ফেটে,
দিন রাত বসে বসে কাটায়
অন্নও জোটেনা পেটে।
স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়ে কিছু
সেই পথ দিয়ে যায়,
চারটি ছাত্রের বিবেক জাগলো
তাদেরকে দেখে অসহায়।
তারা শ্রেণীকক্ষে টিফিনের টাকা
সঞ্চয় করলো কটাদিনে,
পুরোনো খড়ের বদল করে
নতুন লাগিয়ে দিল কিনে।
সমাজের যারা হীতে রয়েছেন
তাদের জাগেনি বিবেক,
স্কুল পড়ুয়া নাবালকেরা
কোথা পেল মানবিক।
ঋজু,রবি,মানিক আরো
সঙ্গে ছিল বন্ধু সুমন,
শিক্ষক নাকি শিক্ষা দিয়েছেন
জীব সেবা পরম ধন।
আশীষ করি তাদের দেখে
মানবতা জাগুক প্রানে,
একে অপরের সহায়তায়
ভাসুক সাম্যের গানে।


ঘটনা-রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া
সূত্র-বর্তমান পত্রিকা(০৬/০৭/১৮)