আধপোড়া শিশুটি আজ ক্ষত আঙ্গুল উঁচিয়ে
                             চিৎকার করে নালিশ জানায়
                                       ঐকান্তিক শহদ্বারে ।


নালিশ করবে ছিন্ন চোখে, যার হাত নেই,
এক হাতে আংগুলি তুলবে সেও।
মিসাইলে উরে গেছে যার পা,
এত খানি শরীরে ; গরিয়ে যায় আস্ত একখানা ট্যাংক।
সেদিন আর সেও অসহায় নয়, বলে দিবে আল্লাহকে।


মা-হারা শিশু, সন্তান-হারা মা সবাই।
স্প্রিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত,
ধ্বসে যাওয়া মুখ, ঝলসানো, পুড়ে অঙ্গার।
ঘরহীন, ঘুমহীন, ছিন্ন-ভিন্ন দেশ।
বিল্ডিং ধ্বসে চিরে-চেপ্টা। সাবধান!
সবাই কিন্তু বলে দিবে ; আল্লাহকে ।


যার মাথা থ্যতলে দিয়েছে ইসরাইলি বোমা,
একটা প্যারাসিটামল পায়নি যে পিতা।
যে শিশুর বুক শুষে নেয় শতটি বুলেট!
যার চোখ কেড়ে নিয়েছে শয়তানের নখর।
বুক ফুলে দাড়াবে সেও এক চোখা দৈত্যের মতো।
সেও বলে দিবে, বলে দিবে আল্লাহকে।


স্বপ্ন-হারা শিশু তাকিয়ে দেখে অবাক চোখে
স্কুলের বেঞ্চ উল্টে পড়ে আছে ।
জলপাইয়ের ডালে বাঁধা দোলনা
নিজে নিজেই দোল খায় ।
সবখানে রক্তের মিছিল , আগুণের শিখা ।
সে চোখেও আজ আভিমান, বলে দেবে সেও
বলে দিবে আল্লাহ কে ।


ফিলিস্তিন ! ক্ষমা কর আমার অক্ষমতা।