জীবনের সাথে হঠাৎ দেখা একদিন
অপরাহ্নে,
দিবাকর ঠিক তখন মধ্য গগনে
ইদানীং এক ছোট্ট প্রশ্ন নিত্য তাণ্ডব করে মনে
কেন পেয়েছি জীবন?
বাঁচার তাগিদে না মৃত্যুর অপেক্ষায়।


কঠিন কিছু উত্তর ঘোরাফেরা করে আশেপাশে
হয়তো সেগুলি পারিনি বুঝতে
সোজাসাপ্টা উত্তর কিন্তু বিকৃত লাগে
উত্তরগুলো কেন আসে না হৃদয় অতল থেকে?
যতসব আজগুবি অবাস্তব প্রশ্ন,
কিন্তু অনেক উত্তর এখনো জানা বাকি
তবুও তারই মাঝে ধীরে ধীরে
জুড়তেই থাকে নিত্য নতুন প্রশ্ন।


বেঁচে আছি বেশ তো,
কিন্তু কেন?
যেখানে বেঁচে থাকার রসদ শেষ
স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ শ্রেয় ভেবেছি বেশ কয়েকবার
কিন্তু কেন?
মৃত্যুবরণেরও কোনও সঠিক কারণও নেই
এমনই করে দিন প্রতিদিন ধীরে ধীরে একটু একটু করে
বাড়তে থেকে জীবনের উলঝন
জীবন না মৃত্যু?
প্রশ্নের পাহাড় জমতেই থাকে।


চেয়েছি কিছু সামান্যই, জীবনের কাছে প্রতিনিয়ত
অসম্ভব কিছু চেয়েছি হয়তো অজান্তে
অধিকাংশই সময় ফিরেছি খালি হাতে নিরাশ হয়ে
প্রশ্ন তো ছিল অনেক
কিন্তু মনকে বুঝিয়েছি অহরহ।
কেন সহজ সরল কথাগুলো
এড়িয়ে চলে মর্জির গণ্ডি
প্রশ্ন তো মনে আসতেই থাকে নিরন্তর
প্রবাহ থামবে কি করে?
কত উত্তর পেয়েছি কত উত্তর এখনও অজানা
তবুও ধীরে ধীরে জুড়তে থাকে নিত্য নতুন প্রশ্ন ।


চেষ্টা করিনি, বলাটা মিথ্যা হবে
জীবনকে বোঝার অনেক প্রয়াস করেছি সরলমনে
কিন্তু বোঝার আগেই ক্রমাগত জড়িয়ে পড়েছি
অক্টোপাসের দুর্ভেদ্য জালে।
সহজমন, গতানুগতিক চিন্তাধারা
নতুন করে জীবনকে  জানার অক্ষমতাই
ছিটকে দিয়েছে নিজেকে জীবন-যুদ্ধের দৌড়ে।
ক্রমাগত যুদ্ধে হেরে হেরেই বুজেছি একদিন  
জীবনের সঠিক রহস্য জেনেছে যে
সেই করেছে জীবনকে হাতের মুঠোয় কাবু।