কোনও এক অদ্ভুত সবুজ সকালে
ক্ষত-বিক্ষত করে দিবাকরের তেজ
রচিত হয়েছে সাড়ম্বরে
অনাস্বাদীত মুক্তির মহাকাব্য।


খোদাই করা মমির দেহে অজস্র ক্ষতচিহ্ন
নিষিদ্ধ কোষ জুড়ে রয়েছে মুক্তির আবেশ
সারা দেহে লেপে প্রকৃতির প্রলেপ
যৌবনের মধ্যাহ্নে জীবন প্রদীপ টিমটিম জ্বলে।


জীর্ণ ধূসর পাণ্ডুলিপি পড়ে আছে অনাদরে
পাশে নিব ভাঙা কলমখানি ঢাকা ধুলোর আস্তরণে
আর শৈশবের হারিয়ে যাওয়া অপক্ক স্মৃতি
উঁকি দেয় ইতি-উতি
এক লম্বা রেখা চলে গেছে গোপন সুড়ঙ্গ বরাবর
কিসের ইংগিত?


তোমাকেই কি খুঁজেছি এতকাল একাকী?
কে তুমি?
মুক্তির অনাবিল খুশি,
না ফিসলে যাওয়া তৈলাক্ত অতৃপ্ত মন,
না বিবর্তনের আবহে হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট ছোট্ট খুশি।


কিসের ইংগিত গোপনে?
সেদিনের হারিয়ে যাওয়া সেই রহস্যময় অনুভূতি
অদ্ভুত, তুমিই কি ফিরে এসেছো?
সত্যি?