প্রাণত্যাগের বৃথা চেষ্টা করেছ অনেক
এখন ক্ষান্ত হও।
তুমি কি সেই তুমিই?
দুর্গেশনন্দিনী, কালজয়ী বজ্রকঠিন নারী।


অসহায়তার অশ্রুবিন্দু বেমানান তোমার নয়নে
জীবন যুদ্ধে বিজয়ী সেনানী বিধ্বস্ত, আশ্চর্য লাগে
কেন হাহাকার করে নয়ন নদী,
হারিয়েছে তারি অশ্রুজল সাহারার প্রান্তরে।


সেদিন ডেকেছিলে ঠিক জন্মদিনের প্রাক্কালে
এখনও কি ক্ষীর পায়েস মুখে রোচে
বড্ড সেকেলে তুমি মা!!
নতুনেরে উপেক্ষা করি, বল কোন সাহসে।


এখনও কি বেঁচে আছো সন্তানের মোহে
তবে বারবার প্রাণ আহুতির বিফল প্রচেষ্টায় কেন?
সেদিন কি সহমরণের চিন্তা মাথায় আসেনি
ঠিক যেমনটি রূপ কানোয়ার পেরেছিল।


দেবীর রূপে পূজিত হতে সমাজে
বুক ফুলিয়ে প্রচার হতো তোমার মহাত্ম
মস্ত ভুল ছিলনা কি?
হয়তো সেদিন বাঁচতে চেয়েছিলে বুকের শিশুকে জড়িয়ে
বেশ তো, তোমার যথা-প্রাপ্য পেয়েছো কুলাঙ্গার সন্তানরূপে
তবে কেন হারানোর ভয় আর অভিমানের মিথা যন্ত্রণা
নিত্য কুঁড়ে কুঁড়ে খায় তোমার প্রাণ ।


তুমি যে মমতাময়ী জননী, ত্যাগের প্রতীক
ছি: ছি: মা, তোমায় সাজে না প্রাণ ত্যাগের ভাবনা
যদি পারো, বাঁচতে শিখো নতুন করে
শুধু নিজের মত করে।


* রূপ কানোয়ার -- নব্বই  দশকে স্বামীর চিতায় সহমরণে সতী হয়েছিলেন রাজস্থানে।