তপ্ত বালুকণার অহংকারের সীমানা
চুরচুর হয় নগ্ন পায়ে চলা পরিব্রাজকের
অটল বিশ্বাসের আগে
মানবতার ছোট্ট আহ্বান সঞ্চার করে
নতুন অঙ্কুর মানব হৃদয় মাঝে
মসৃণ এগিয়ে চলে খুশির রথে চড়ে।


উঁচু উঁচু ঢেউয়ের আগে অসহায় নাবিক
স্নায়ুর সাথে ক্রমাগত যুদ্ধে হয় জয়ী হয়
আর পরাজিত সৈন্যের মত ঢেউগুলো ধীরে ধীরে শান্ত হয়
অস্ত্র ত্যাগ করে অহংকারী সমুদ্র, চূর্ণ হয় তার দম্ভ।
কিছু অবাঞ্ছিত লোমের মত বুদ্ধিহীন
পশুরুপী মানব লিপ্ত হয় ঠুনকো লড়াইয়ে
বিভেদ অনেক সৃষ্টি হয়েছে সমাজে, জাতি ও ধর্মের নামে
তবুও অঙ্কুরেই হয়েছে সমূলে বিনাশ।


ক্ষণিকের হঠকারিতার সুযোগে অবুঝ হৃদয়ে
জন্ম নেয় হিংস্র ইবলিশ, রাক্ষসের দল
শিক্ষার আলোকে লাগে কুশিক্ষার অকাল গ্রহণ
ক্রমাগত কুমন্ত্রণায় বিষাক্ত করে মানব মনন
ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যুগ যুগ ধরে
চূর্ণ হয়েছে তাদের দম্ভ, বিলীন হয়েছে বিষাক্ত দাঁত
আকাশভাঙা মুষলধার বৃষ্টির বন্যারূপী  রাক্ষসের
তাণ্ডবও হাসি মুখে সহ্য করেছে প্রকৃতি ও মানব
বন্যার জলে বয়ে আসা পলি রসদে শিখেছে নতুন করে পুনরায় বাঁচার।


হে মানব কেন এত উচ্চ নিচ, ভেদ-ভাব, হিংসা বিদ্বেষ
তোমার তাণ্ডবের ইতিহাস শীঘ্র ভুলবে মানব
যদি রচনা করতেই চাও ইতিহাস,
লিখতে চাও নতুন ইতিহাস
তবে স্মরণ কর সে মহাপুরুষদের
যারা লিখেছে মানবতার অমর ইতিহাস
দেখো ভুলে যাবে সব ভেদাভেদ, শিখবে বাঁচতে নতুন জীবন।


তাইতো কোনও এক মূর্তিকারের আক্ষেপ
"হে সৃষ্টিকর্তা  
তোমার বানানো পুতুলরা কেন এত অবুঝ
কেন করে মারামারি, হানাহানি,
ধর্মের নামে, জাতির নামে, সৃষ্টির নামে, সৃষ্টিকর্তার নামে
কই আমার সৃষ্ট পুতুলদের বুকে তো সে বিষ নেই"