এমন ও তীব্রদাহে কালবৈশাখীর ঝড়ে
ঘরে থাকা যে ভেজায় দায় আম কাঠালের সুমিষ্ঠ গন্ধে,
মা বলে আম কাঠাল পারিস নে
দুদিন পর তোর বোন নাইয়্যুর হইয়া আসবে।
সারাদিন ধান মাড়ানো আর খড় শুকোতে
পরিষ্কার দিদিকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল বটে,
মরিচপুরা, পেয়াজ আর লবন দিয়ে
মাটির বাসনে পান্তা ভাত খাচ্ছিল দিদি আপন মনে।
পাড়ার ছেলে সাদ্দাম কেউ বা বলে তাকে বুশ
অবশেষে তার নামখানি হলো সাদ্দাম বুশ,
বুঝা গেলো গ্রামের মানুষ ইরাক মার্কিন যুদ্বের সময় ছিলো হুশ।
সাদ্দাম বুশ কচুর লতি, পাট শাক, ডাটা শাক
যখন ঝুড়ি নিয়ে বাজারে বিক্রি করিতে যায়,
পেছন থেকে মায়ের ইয়া বড় ডাক আসে
পান সুপারি আর খাতা কলম আনতে ভুলে যেন না যাস।
চারদিকে একটানা অনেকদিন অসহনীয় ভাপসা গরম
কৃষক কৃষানীর ঝরে পরা ঘাম যেন বৃষ্টির মতো,
অবশেষে টানা কয়দিন বৃষ্টি হলো সবখানে
পরিষ্কার দিদি বলে উঠলো বৃষ্টির শরম ভেঙ্গেছে বটে।
চারদিকে ঘোর অন্ধকার মানুষজন ঘুমিয়ে আছে মধ্যেরাতে
জালালদের টিনের ঘর কালবৈশাখীর ঝরে নড়ে,
লা ইলাহা ইল্লালাহ বলে জালাল চিৎকার করে উঠে।
পাশের ঘর থেকে তড়তড়িয়ে আওয়াজ আসে
আহারে জালালদের ঘরের চাল এই বুঝি গেলো উড়ে।