আমরা তো সেই বীরের জাতি, নাইকো কোনো ভয়,
করোনা শুধু চায়নাতে হয়, বাংলাদেশে নয়।
সাপ, বিচ্ছু, পতঙ্গপায়ী- ফ্রান্সবাসীরা খায়-
মরছে যে সে আরো মরুক আমাদের কি আসে যায়?


ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস, চায়নাতে মৃত্যু তিন,
ওরাতো সব হারাম খায়, চলো আমরা বাজাই বীন-
দেখতে দেখতে উহান শহরের বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ,
আমরা খুশি, ইহুদি ওরা ছড়াক যত পারে গন্ধ।


ইতালিও খুশি, জানুয়ারি শুরু নেই মৃত্যূর মিছিল,
ফেব্রুয়ারী শুরু না হতেই সেখানেও এলো ফসিল।
স্পেন সেতো আরেক ধুরন্দর, আমাদের দেশে কম-
গত কয়েকদিনে আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ্ ত্রিশও কম।


যুক্তরাষ্ট্র সেতো মহা শক্তিধর, হার মানায় যেনো যমকেও-
এক নিউওয়ার্কের মৃত্যুর হার ছাড়িয়ে গেছে হাহাকারকেও।
আমেরিকা আজ তিন লক্ষ্ পার করলো আক্রান্তে,
কি মনে হয় বাংলাদেশ- হার মানাবে যমকে?


অবশ্য তোমরা পারো, থানকুনি পাতা আছে না-
লাল সুর্যের পূর্বগ্রাসে করনা কিন্তু ধরেনা।
সাথে আছে, শ্যাম বাবা, কালিবাবা আর পীরবাবার দোয়া-
আমাদের ধরবে করনা? একি বাবার হাতের মোয়া?


কিন্তু সকল দেশের মৃত্যুর হারতো ২% এর নিচে-
আমাদেরতো ১১%, (খেয়ে নেই আগে) কি হয়েছে তাতে?
সরকার যদি ছুটি না দেয়, আমাদের কি করার?
ভুলক্রমে ছুটি দিয়ে দিলে গাড়ি নাই কেনো বাড়ি যাওয়ার?


গাড়ি যদি চালু থাকে চলো ঘুরে আসি কক্সবাজার,
যদি করনায় ধরে- দাওয়াই নিয়ে নেবো আছে না মাজার?
গরিবকে সাহায্য করতে গেলে সিংহভাগই বড় গরিবের পেটে,
বাকিটাতো চেয়ারম্যান, মেম্বার, শ্রমিক ক্ষুদা পেটে।


কেউবা আবার দেয় আর্মিকে হুমকি, কারন তারা দল-
সিগারেট নিতে রাস্তায় বের হবে, নিষেধ করবে কোন চ্যাটের বাল?
কেউতো বলে ঘরে থেকে বোরিং আমি, তাই আসছি ঘুরতে-
করনার কি ভয় নাই প্রানে? আমাকে আসবে ধরতে?


আমিও ভাবিলাম, " বীর বাঙ্গালী আমরা, কিসের এতো ভয়?
আমিতো আছি ঘরের মধ্যে কখন কিযে হয় !!"