হারিয়ে ফেলেছি শৈশবের ঈদ আনন্দ


এই দিনে একটা কবিতার জন্ম হোক সকাল বেলায়
ছেলেবেলায় সেই ঈদের আনন্দ উল্লাস ফিরিয়ে দাও
আজ  তা ফিকে হয়ে গেছে দিনে দিনে,বছরে বছরে,
আস্তে আস্তে নগর সভ্যতা গড়ে ওঠেছে গ্রাস করছে
ভালোবাসাগুলো বন্ধ ঘরেই ঠুকরে ঠুকরে কাঁদে।

রুচির পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই,আধুনিকতার ছোঁয়ায়
কিন্তু দুর্ভিক্ষের যে মহামারি লেগেছে মনের অন্তরে
চারিদিকে সেই মহামারী থেকে পরিত্রাণের খোঁজ উপায়
  ঝলসানো আলো চোখ ধাঁধানো সব রং বাহারি সজ্জা  মাঝে আমার ছেলেবেলা গুলো রাস্তায় লুটিপুটি খায়।

চলন্ত বাসের নিচে পড়ে ভালবাসাগুলো পৃষ্ট হয়-
রক্তাক্ত হয়, ওইখানে রয়েছে আদিম ভালবাসা ,
যাকে আমি দিনে দিনে লালন করি একটু একটু করে
আমাদের সেই যত্ন করে তৈরি করা ভালোবাসাগুলো
উড়ে ফানুস হয়ে ভলকা ঘুড়ির মতো হারায় পথে পথে।


নগর সভ্যতা হয়তো অনেক দিয়েছো ঐশ্বর্য, প্রাচুর্য কিন্তু আমার সেই শৈশবের খেলাঘর,সেই শৈশবের ভালোবাসা
কেন আজ এত দলাদলি ভালোবাসা গুলো কাঁচের মত ঝনঝন করে বাজে,কোথাও এতটুকু নেই ঠাঁই আছে শুধু মরা কান্না, লোক দেখানো ভালোবাসার ছলনা চাতুরি।
বারবার হারিয়ে যাই, আবার ফিরে পাই জ্ঞান বার বার হারাতে থাকি আমার শৈশবের সেই ভালোবাসা সেই স্বপ্ন। সেই পুতুল খেলার সাথী যার সঙ্গে একটু ঝগড়া হলেই আঁড়ি দিয়ে আবার বিকেলে পুতুল খেলায় মেতে উঠি ।

এখনো ঈদ আসে শৈশবকে খুঁজি, মেহেদি পাতার রঙে আলতো করে ছুঁয়ে যায় ভালোবাসা, অতি আদর সোহাগে।
আজ সেই মেহেদির গন্ধ পাই না, স্বপ্নের ফেরিওয়ালা রাস্তায় রাস্তায় অন্ধের মত হাঁটি, যদি শৈশব কে ফিরে পাই।


১১/০৪/২০২৪
নন্দিনী লুইজা