রৌদ্র নামুক রুদ্র কঠোর খরার দুপুর নিয়ে
ঝলসে দিক এই পিচঢালা পথ তীব্র অনল দিয়ে,
হাত বাড়ালে স্পর্শ করুক দগ্ধ বায়ু ধেয়ে
দাহ্য প্রণয় যাক ছুঁয়ে যাক রোদ্দুর কাছে পেয়ে।


তপ্ত দুপুর নিক শুষে নিক হিমশীতলের মায়া
বৈশাখের ঐ গাত্রে পড়ুক তৃষ্ণাকাতর ছায়া,
বুকের ভিতর বরফ কঠিন শরীর গলুক আজ
ভরদুপুরের ঘুঘুর ডাকে গর্জে উঠুক বাজ।


তৃষ্ণা আসুক আক্রোশে তার শরীর পুড়ে যাক
বৃষ্টিবিহীন মেঘের মায়া দূরে দূরেই থাক,
মরীচিকায় ভুল হয়ে যাক সকল চলার পথ
ভ্রষ্ট সুখের কষ্ট নামুক চড়ে রোদের রথ।


তৃপ্তি ছোঁয়াক অতৃপ্তি এই দহন দহন খেলায়
বৃষ্টি থাকুক দূর আকাশের অসীম নীলের মেলায়,
মরুভূমি যাক হয়ে যাক শ্যামল সবুজ মন
খররোদ্রে উজাড় হোক ঐ পাতাঝরা বন।


অনেক হলো বরফ হওয়া এবার পুড়ে যাই
ভরদুপুরে বাতাস উড়াক হৃদয়পোড়া ছাই,
সূর্য ঝরাক তার বুকের ঐ সকল জমা তাপ
উত্তাপে তাই গলতে থাকুক ভুবনজোড়া শাপ।