সেদিন সেজেছিল মেয়েটা
যৌবনের প্রথম বসন্তে
দিবারাত্র পিতার চেস্টা
বাঁধবে তাকে গন্ডিতে।


সেদিন সেজেছিল মেয়েটা
প্রথম কলেজর দিনে
সরস্বতী পাটিয়েছে শ্রষ্টা
কলেজ লাইব্রেরীর কোণে।


সেদিন সেজেছিল মেয়েটা
যেদিন পড়েছিল প্রেমে
বীণার সুরে বাজে প্রাণটা
ভালবাসায় জমা ফ্রেমে।


সেদিন পড়েছিল মেয়েটা
প্রেমিকের বাহু বাধঁনে
সঁপেছিল ফুটন্ত যৌবনটা
ভিজেছিল আশার শ্রাবনে।


সেদিন সেজেছিল মেয়েটা
সখাভরা প্রেমিকের আবাসনে
উন্মত্ত হায়নার দলে শরীরটা
নিস্তেজ হল  দংশনে।


সেদিন সেজেছিল মেয়েটা
প্রশাসন ও মিডিয়ার সম্মুখে
আটকে যাচ্ছিল  নিঃশ্বাসটা
প্রানহীন মিথ্যা সংগ্রামে।


সেদিন কেঁদেছিল মেয়েটা
বিচারের নামে প্রহসনে
নীরবে কেঁদে যায় সত্যটা
সাজান নাটকের আসনে।


সেদিন সেজেছিল মেয়েটা
গিয়েছিল দোষীদের আসরে
গুলিভরা পিস্তলটা
টেনেদিল একনাগাড়ে।


সেদিন হেসেছিল মেয়েটা
শেষ বিদায়ের হাসি
তার শেষ গুলিটা
নিঃশব্দ করল বাঁশি।


সেদিন বেজেছিল জয়ধ্বনি
এই বাঙলার ঘরে ঘরে
আজো তার শব্দ শুনি
প্রতিটি নারীর অন্তরে।