আমি ঘুমিয়েছিলাম আঁধারে জোনাকির মায়াবি লুকোঁচুরি ,
সাগরের জোয়ার তখন লন্ডভন্ডে ব্যস্ত বিদায়ে কি করি ।
ছিলাম তো ভালোই বেশ শেষের কবিতার হারানো সুরে ,
আছি ইতির দুয়ারে তালা লাগায়ে যাচ্ছো বলি কত দূরে ।
সেদিন ছিলোনা কালো মেঘের বৃষ্টি হুঁংকার বাতাসের সৃষ্টির ,
ছিলো আপনের নিজেরও বস্ত নিতে ব্যস্ত বিধাতার দৃষ্টির ।
পেয়েছি অনেক ভুলেছি কার লাগি ধরনীর আজ রাজা ,
জগতে করি নাই স্বরণে ভুলি বিদায়ে বিশাদের সাজা ।
একি পায়ে বৃদ্ধ অঙ্গলি টানে যুদ্ধের আঘাত যেন তুচ্ছ ,
পিঁপাসায় কাঁতর দেহ্ ভাঙ্গচুরে পুরস্কার মৃত্যুর গুঁচ্ছ ।
মালিকের কৃপা ক্ষণে অন্য জনে মনে নেতা আর গুরু ,
কত সুখ প্রাসাদে রাখিয়া সবি বিচ্ছেদের বুঝি এই শুরু ,
উঠিলো হাঁটু পাহাড়ের চুড়ায় শ্রেষ্ঠ কঠিন বাঁধ পেরিয়ে ,
পৃথিবীর কষ্ট সামান্যই অল্প মৃত্যুর স্বাধ দিলো জানিয়ে ।
বিশ্বাস ভুলে আজ নিশ্বাস শুধুই আপন মিলনে মেলে আখি ,
কঠিনই সত্যে সবারই প্রাপ্তে বিদায়ে তাই বারে বারে দেখি ।
এলো দেখ মোর আঙ্গিনায় যাওয়ার বেলা নহে তার বিহনে ,
কষ্টের জোয়ার অবশেষে রূহে মিলিত হল বুঝি মরণে ।
বারে বারে দেখি মা বাবা ভাই বোন বউ আর সন্তান ,
কিছু যে নাই বলার মহে বিশাদে সখা যে মোর ইমান ।