দেহ নাই বীত্তথলে ঠাই নাপাকে ফোটায় ধরনী ,
নিষ্পাপ ধাপে ধাপে গজাচ্ছি সকাল সন্ধা রজনী ।
মুখ নাই তবুও খাই লাথিতে কাঁদাই দুঃখী রমণী ,
নয় কি দশ মাসে হাজারো কষ্টে হাসে মা জননী ।
বুঝি নাই শক্তি ছোট আদরে চুমু খেতো কপালে ,
ভিঝায়ে বন্যায় রাখিতো বুকে রাত শেষে সকালে ।
হাটি হাঁটি পা পা হোচটে চটাং কান্নায় আহাকার ,
জননী বুঝে নারের টানে তখনি মা মনির চিৎকার ।
সকাল সন্ধা রজনী কত হাড্ডি শীরায় শক্তি এলো ,
যার লাগি বড় সরো আজি সেই জননীই বা কি পেলো ?
শ্রাদ্ধ কি আছে হে মানব শোধে টাকায় বলি পয়সায় ?
সুখে আছো কেমন মা বীনে বউ নিয়ে কুৎসিত লালসায় ?
এক ফোঁটা সাদা জ্বল বিরল হারায়ে মা তখনই বুঝেবে ,
লক্ষ কোটি রাজ প্রাসাদ রানী ঘরণী বৃথ্যা মাকেই খুঁজিবে ।
একদিন সকাল সন্ধা রজনী তোমাকেই করবেন তীরস্কার ,
অল্প সল্প কিনচিৎ নহে দিওনা কষ্ট নিওনা জাহান্নাম পুরস্কার ।