বাবা: বাপ, তুই এতো রোগাটে হয়ে যাচ্ছিস কেন?
চোখের নিচে পড়েছে পুরু কালো আবরণ?
ঠিক মতো ঘুমাস না; অনিয়ম নিয়মিত খাওয়ার বেলায়!
তোকে দেখে মনে হয় বয়সের ভারে তুই ক্লান্ত
আমার যাত্রার বহুকাল আগে তুই করেছিলি সূচনা।
.
ছেলে: অস্পষ্ট স্বরে-
এ দুঃসহ অসহায়ত্ব তুমি বুঝবেনা, বাবা!
.
বাবা: কি বলিস; বিড়ালের ভয়ে লুকানো ইদুরের মতো?
বর্গী তো সেই কবে নিয়েছে বিদায়।
.
ছেলে: বাবা; কোথায় প্রিয় স্বাধীনতার স্বাদ?
চারদিকে শাসকের দুঃশাসন, দুর্নীতি আর ক্ষমতার রক্তচক্ষুর হুঙ্কার
সমাজের প্রতি স্তরে শিক্ষিত বিবেকহীন মানুষের জয় জয়াকার
ভুলন্ঠিত মানবতা; দুর্বল জীবনকে করে উপহাস!
বাবা; বর্গী তো বিদায় নেয়নি
এ সমাজের বুকে আজো তারা আছে
শুধু ভিন্ন রুপে করছে শোষন।
আজো মানুষের বুকে তাদের হিংস্র নখের আচড়
উন্মুক্ত মাটির বুকেই আছে কারার ঘ্রাণ।
বাবা, তোমাদের এনে দেওয়া স্বাধীনতা;
মর্গের হিমঘরে হয়ে আছে লাশ!
.
বাবা: এই মরুভূমির ওপারেই সবুজ পাহাড় আছে
ঝর্ণার স্রোতে বহমান নদী; আর আছে সভ্যতার স্পন্দন।
সাতচল্লিশ বছরের যে অপূর্ণ স্বপ্ন;
কোন একদিন তা মিলাবেই মুক্তির স্বাদ।
.
ছেলে: সে আশায়-ই তো বেঁচে আছি, বাবা।