এইতো সেদিন ডিগ্রি পেয়েই 'বেকার' হয়েছে নামটা
তারপর থেকে জীবন রথে শুরু মরুময় পথ চলা।


ছোট্র বোনের নিষ্পাপ মুখে সীমাহীন প্রত্যাশা
বৃদ্ধ-শ্রান্ত পিতার দৃষ্টি খুজে ফেরে নির্ভরতা।
মমতাময়ির নীরব অশ্রু ঘুরে ফিরে বলে ওরে খোকা
আর কত কাল এমনি রহিবি? কিছু কররে এবার বোকা।


ফোন বেজে উঠে, ওপাশ থেকে প্রেয়সীর কান্না
কেঁদে-কেঁদে বলে, জয় কি পাবে শেষ আবুলের মা-বাবা?
চুপ করে শুধু শুনে রই সব, দেই নাই কোন শান্তনা
তাই অভিমানী মেয়ে অভিমান করে ফোন রাখে চুপিসারে।
নিজেকে তখন অপরাধী ভাবি বসে থেকে একা অবশেষে।


একটু শান্তি খুজে পেতে তাই ঘরের বাইরে এসে-
রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে রহিম চাচার দেখা মেলে
'কিছু কি হলো'? ভূমিকাবিহীন রহিম চাচার সরল জিঞ্জাসা
'না' বলে শুধু উত্তর দিয়ে শুরু হয় পালাবার পালা।


পালানোর পথে এক ছোট ভাই এসে খবর দেয় হেঁসে-হেঁসে
কোটা মফিজটা নাকি চাকরি পেয়ে এখন কর্তা বেশে।
এরপর তার উৎসুখ চোখ ইনিয়ে বিনিয়ে বলে-
কেমন মেধাবী ছিলেন আপনি? কিছু কেন নাহি জোটে?


তারপর থেকে এক বন্দি জীবন চার দেয়ালের মাঝে
বন্দি জীবনে সময় কাটে সঙ্গী বই-পুস্তকের সমারোহে।
ঘাটি পত্রিকা, ঘাটি ইন্টারনেট পেতে সোনার হরিণের সংবাদ
খুজে-খুজে অবশেষ যদি তেমন কিছু একটির দেখা মেলে-
ক্লান্ত দৃষ্টি বারে-বারে সে সংবাদটির বর্ণনা পড়ে।


কিন্তু একি! সব কেন যেন হয়েছে ব্যাস্ত কোটার জয়গানে।
বাকি যা থাকে তাও আটকায় অভিঞ্জতার নির্দয় জালে!
এরপরও যদি ভাগ্যে একটি নিরীহ নোটিস মেলে
আবেদন আর নিয়মের জাল ছিড়ে পৌছায় ভাইবাবোর্ডে
কর্তার শত প্রশ্নের শেষে দৃষ্টি তাহার বলে ঠাট্টার হাঁসি-হেঁসে
মামা-ধামা ছাড়া লাভ নেই কোন এমন মেধাবী বেশে!


প্রতিনিয়ত এভাবে বড়ো হয়ে চলে এক সংগ্রামি ইতিহাস
কাটে এক-একটি অভিশপ্ত দিন, বাড়ে শুধু দীর্ঘশ্বাস!