টেবিলটা জুড়ে বই-পুস্তক ছিটানো,
জ্ঞান আহরনের আজ তীব্র স্পৃহা,
মাথা ভরা রাজ্যের টেনশন,
কাল সকালেই আমার যে ইগ্‌জ্যাম।


করেছি আজ তাই মহাপন,
রাতেই করবো জ্ঞান সমুদ্র উদ্ধার,
উগলাবো তা কাল খাতা ভরে,
যা হবার তা হোক এবারে।


হঠাৎ প্রিয়ার ফোন,
বেজে উঠে রিংটোন,
না থাকা যায় কি তা ধরে?
থাকনা যতই টেনশন মাথা ভরে।


তাই ফোনটা ধরেই কানে,
ডুবে গেলাম মিষ্টি কথার মাঝে।
কেটে গেলো আরো ঘন্টা দুই,
প্রিয়ার মধুর কন্ঠস্বরে।


তারপর রেখে ফোন দেখি চেয়ে,
রাতটা যে অনেক হয়েছে।
দু'চোখ জুড়ে এলো রাজ্যের ঘুম,
পড়া নাহি ঢোকে মাথা মাঝে।


তাই ছোট এক করি পন,
দেই ফোনে অ্যালার্‌ম।
যাই এই ভেবে বিছানাতে,
উঠবোই চারটাতে।


হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে দেখি চেয়ে,
আলোতে চারদিক ডুবে আছে।
ঘড়িতে আটটা বাজে,
ইগ্‌জ্যাম দশটাতে।


তাই চোখমুখ ধুয়ে এসে কোনমতে,
বসে যাই পড়তে।
বই-খাতা সব এদিক-ওদিক ছিটিয়ে,
শেষ হলো সব পড়া ঘন্টা খানেকেই।


তারপর জামা-প্যান্ট পরে কোনমতে,
গোটা দুই কলম আর অ্যাড্‌মিট্‌ নিয়ে হাতে,
দৌড়াই ইগ্‌জ্যাম হলের দিকে,
আয়নাতে মুখটি দেখার সময় নাহি জোটে।


অবশেষ ইগ্‌জ্যাম হলে পৌছে,
প্রশ্নপত্র পেলাম হাতে।
পড়ে দেখি তা ভালো করে,
বেশীর ভাগ প্রশ্নই অচেনা লাগে।


কি আর যাবে করা!
তাই সাত-পাঁচ না ভেবে,
এদিক-ওদিক চেয়ে,
লেখাটা দিলাম শুরু করে।


কখন যে কি করে,
তিনটি ঘন্টা গেল কেটে।
স্যারের কর্কশ গলা,
খাতাটা নিলো কেড়ে।


তাই করে করে আফসোস,
আসি ইগ্‌জ্যাম হলের বাহিরে।
বিধাতার কাছে চাওয়া থাকে,
ইজ্জতটা যেন এবার বাঁচে।
মনে-মনে করি দৃঢ় পন,
দেখিয়ে দেবই নেক্‌স্‌ট্‌ ইগ্‌জ্যাম।


কিন্তু কেন যেন রুমে ফিরে,
আবার যাই সবই ভুলে।
চলে একই গতানুগতিকতা,
বারে-বারে ঘুরে ফিরে।