যেখানেই থাকো, যতো দূরে যে ভাবেই থাকো
তুমি আছো লুকিয়ে এ মনের গহীন মাঝে।
শেষের রেখার সূচনা যে দিন থেকে
সে দিন থেকে হৃদয় ধ্বনিতে স্থায়ী হয়ে তুমি গেছো।
এরপর এক বিষাদসিন্ধু রোজ লিখে চলি আমি
ফাল্গুনের সুরে স্মৃতির আগুনে জ্বলে-পুড়ে আমি মরি।
ভাঙ্গাচোরা মন ক্ষোভের আগুনে দাউদাউ করে জ্বলে
প্রতিশোধ নিতে কতো শতবার উষ্কানি দিয়ে গেছে।
প্রেমের স্মৃতিরা, তোমার আবেগ অশ্রুর মাঝে মিশে
সেই উষ্কানির সম্মুখে দাড়িয়ে বিদ্রোহী হয়ে গেছে।
ঘৃণার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ভালোবেসে শুধু গেছি
তবু পরাজয় মাঝে দিন শেষে আমি বিজয়ের সুখে হাসি।
সেই হাসি ঝরে রক্তক্ষরণে নীরবে হৃদয় মাঝে
যেন আহত পাখির আর্তনাদে নিশির আঁধার নামে।
তুমি না জানো; আকাশ-বাতাস সে খবর রোজ রাখে
সন্ধ্যা মালতী নীরব ব্যথায় অকালেই যায় ঝরে।
দিঘীর জলে শাপলার ফুল কষ্টে হয়েছে নীল
লজ্জাবতীর লজ্জা ভেঙ্গেছে; ভাঙ্গেনি তোমার ভুল।
জানি আমার পথের দিগন্ত রেখায় আর ফিরবে না তুমি
তবু প্রত্যাশা তোমার পথেই নামুক সুখের রবি।