ওরে  অভিমানিনী!  
            এমন করে বিদায় নিবি ভুলেও জানিনি।

      পথ ভুলে তুই আমার ঘরে দু-দিন এসেছিলি,  
      সকল সহা! সকল সয়ে কেবল হেসেছিলি।
            হেলায় বিদায় দিনু যারে  
            ভেবেছিনু ভুলব তারে হায়!  
                  ভোলা কি তা যায়?
ওরে   হারা-মণি! এখন কাঁদি দিবস-যামিনী।


      অভাগি রে! হাসতে এসে কাঁদিয়ে গেলি,  
            নিজেও শেষে বিদায় নিলি কেঁদে,  
      ব্যথা দেওয়ার ছলে নিজেই সইলি ব্যথা রে,
বুকে        সেই কথাটাই কাঁটার মতন বেঁধে!


      যাবার দিনে গোপন ব্যথা বিদায়-বাঁশির সুরে  
      কইতে গিয়ে উঠল দু-চোখ নয়নজলে পুরে!  
            না কওয়া তোর সেই সে বাণী,  
            সেই হাসিগান সেই মু-খানি, হায়!
আজও       খুঁজি সকল ঠাঁই।
তোরে       যাবার দিনে কেঁদে কেন ফিরিয়ে আনিনি?
                    ওরে    অভিমানিনী।


(ছায়ানট কাব্যগ্রন্থ)