ভেবেছিলে কষ্ট দেবে; লাল নীল কিংবা বেগুনি
একটি একটি করে যে রঙগুলো বাছাই করে রেখেছিলে
আমার দুঃখের নদীতে জোয়ার আনবে বলে;
জেনে রেখ সে সব রঙই আমার সবচে’ প্রিয় রঙ ।
নীলশিখার নীল বেদনার রঙ নয়; পুড়ে খাঁটি হওয়া
তেজদীপ্ত আমার এক অহংকারের নাম –
প্রতি প্রাতে আমার আঙিনায় রেশমি কঙ্কণ বাজাও
অধর রাঙাও মোহনীয় গোলাপের আভায়,
চেয়েছিলে আমায় নীল নদে ডোবাতে!
নন্দিনী, জেনে রেখ ডুব সাঁতারে ব্রজেন দাসের আমি সঙ্গী ছিলাম
হিমালয় লঙ্গন করেছিলাম তুষার ঝড়ের মাঝে –
তোমার যাওয়া আসা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আমার কাছে অন্য কিছু নয় ।
সুর্যাস্তে অন্ধকারের আগমন আমার কাছে ভীতি সঞ্চার করেনা
জোয়ার শেষে আমি প্রতিনিয়ত অপেক্ষা করি ভাটার জন্যে –
সুখের পরে দুঃখের আগমন অবধারিত , ব্যত্যয় কখনো দেখেনি
নন্দিনী আমি এসব প্রকৃতির নিয়ম বলে মেনে নিয়েছি ।
যে নিজেকে বেঁধে নিয়েছে প্রকৃতির নিয়মের অধীন করে –
ঘটনা মেনে নেয়ার স্বাভবিকতা যার কাছে অলঙ্গনীয় বলে
যে বিচলিত হয়না জ্যৈষ্ঠের দাব দাহের মাঝে তুষারপাত হতে দেখে
কী করে সৃজিবে নরক তার জন্যে এই পৃথিবীতে ।