আমি ভাঁড় হতে আসিনি,
ভাঁড়ামিতে মজে স্বর্গসুখে ভাসি না আমি;
চটুলতার ভিতে গড়া প্রাসাদের মেকী দেয়াল ভেঙে
বন্ধুর পথে চলার পাথেয় নিয়ে চলি আমি, আমিই আগামী।
আমি ভাঁড় হতে আসিনি।


কালক্ষেপণের মায়াজালে মিথ্যে মায়ায় মিথ্যে মোহে
কত দিবস হেলায় ফেলে দিয়েছি, আয়নাতে মুখ দেখিনি।
আজ রাত্রির ঘোর আঁধারে যখন শুনি নিজের পায়ের শব্দ
তখন জাগে বোধঃ সত্যিই আমি ভাঁড় হতে আসিনি।


স্বপ্নের ঘোরে যা দেখেছি ভুল দেখেছি, ঘুম ভেঙেছে!
স্বপ্ন হারায়! নতুন স্বপ্ন দেয় উঁকি, নিয়ে লোভী চাহনি।
বাস্তবে ফিরে সেই-ই দেখি মানুষের মানসে বিষফল,
আর লোক দেখানো হাসিমুখ,
তাতে আরও স্বচ্ছ হয়ঃ আমি ভাঁড় হতে আসিনি।


ভাঁড়ামি দেখিঃ টাই পড়া বাবুর টাইয়ের গিঁটে,
ভাবে সেঃ গিঁট দিয়েই বেঁধে ফেলেছে নোংরা মুখের বাণী।
অন্তরে তার নোংরামি চলে অহর্নিশি, গিঁট অবশেষে খোলে!
আমি এখন নিশ্চিত জানি, আমি ভাঁড় হতে আসিনি।