প্রিয় রুদ্র,


রুদ্র তুমি চেল গেছ, ভালই করেছ না হলে চাপাতির নিচের এই দেশকে দেখে দুখ: পেতে।
দুখ:পেতে কানে ধরে উঠ বস করা এই বাংলাদেশকে দেখে। ভালই করেছ।
না হলে মানবিক কবি তুমি তোমার মৃত্যু হত শত শত বার। তুমি ভাল আছ রুদ্র, আমরা শুধু বয়ে বসে মৃত্যুর নগ্নতা উপভোগ করছি। সেকি যন্ত্রণা!
তুমি যাকে ভালবেসে ছিলে, যে তোমাকে ছেড়েছে
কিন্তু জড়িয়ে ছিলে তার চেতনায়  বা অন্য কিছু যা সে প্রসব করেছে বারে বারে,
গেছে চলে মাটি থেকে অনেক দূরে বা তাকে যেতে হয়েছে। তুমি বেচে থাকলে তুমিও কি এই মাটি ছেড়ে চলে যেতে না যেতে হত?
তুমি তাকে ওভাবে ছাড়তে  পারতে যেমন করে পেরেছে সবাই?  পারতে না কবি পারতে না!  
তোমার মানবিক মন নেমে পরত, হাতের ওই আঙুল খোলা স্টেনগান হয়ে যেত, বিরক্তি ঘৃনায় তোমার বজ্রমুষ্টি কামানের গোলা হয়ে স্ফুলিঙ্গ ছড়াত - অন্ধকার ছড়িয়ে রাষ্ট্রিক দড়ি  পরে নিতে  আপন হাতে -
তুমি সেই এক বড় দায় থেকে মুক্তি পেয়েছ কি অনায়াসে! ভাল থেক।
তুমি থাকলে তোমার মতই একটি ব্যাগ কাধে নিয়ে তোমার পায়ের কাছে বসে থাকতাম সুনিলের সেই কুকুরের মত, তোমার ভিতরটা দেখব বলে।
অতি যতনে তোমার লালন করা সেই দুখ:টাকে আমার নিজের কাছে নেব বলে।
দেখ আমি বেচে আছি, কিন্তু তোমার দুখ: নেই বলে আমিও মরার মতই বেচে আছি!
ইতি
নীবারন চক্রবর্তী