দেখিনি সিঙ্গুরের প্রতিরোধ,
গুনিনি নন্দিগ্রামের গুলির হিসেব;
শুধু ভেবেছি কয়েকবার ছবিতে তোমাদের দেখে,
আর কিছু লেখা পড়ে, তোমাদেরই হাতের।
মরণ শেষে পার না রাখতে,
মৃতের সামান্য শেষ সম্বল;
পারবে কি করে রক্ষা করিতে,
সমগ্র জাতির এ ধীর অধঃপতন।
জনক যেথায় পারে নাই দিতে,
পুত্ররে জ্ঞান সততার,
অসৎ হইতে বাধিবে কেন আজ,
মিথ্যাচার এ তার বসবাস।
ছিল না রোগজীর্ণ শিল্প এত,
ছিল না শহর জুড়ে এত টাকা;
তবু ব্রিটিশ শাসিত শহরের ছিল,
পরাধীন এক জাতির যু্দ্ধগাথা।
সে জাতি আজও পরাধীন,
নিরুপায় হয়ে লড়ে সে একটু বেশি টাকার জন্য,
পাওয়া হয় নাই সে টাকা আজও,
বঙ্গসন্তানেরা সব বনিকই মাত্র।
বদলে গেছে অনেক কিছু,
সেই ১৯০৫ সাল থেকে
বদলেছে বঙ্গের বায়ু ও স্থল,
বদলেছে মন সব শেষে।
মন সল্পগামী আমার,
বুঝতে পারি কম;
তবু যা কিছু বুঝেছি
অনেকই মনঃক্লেশে।
কখনো তোমরা চালিয়েছ গুলি,
কখনো আমরা বন্ধ করেছি বুলি;
করেছি কত হত্যালীলা ,
মানুষ মারতে লাগেনি, অগ্নিবীণা বা ব্যাকরণ কৌমুদী।
এ যুগের হয়ে ও পারিনা কেন
মানিতে এঁদের রীতি;
বৃহত্তর কর্ম ভুলে,
চারিদিক শুধু নকল মনঃশ্রুতি।
সেদিনও তো ফাঁসির রজ্জু,
বরণ করেছে বঙ্গসন্তান;
ষোড়শ বর্ষ জীবন, যেন
আজও দীপ্তমান।
সেদিনও শহরে শহরে অনেকে,
কাটিয়েছে অলস বিকেল;
অথবা রুটিন এর চিন্তা নিয়ে,
সময় ছিল বা যদিও আগের,
সময় বঙ্গভঙ্গের।
আমার সময়, যদিও বা নেই বঙ্গভঙ্গ,
নেই যে অগাস্ট বিপ্লব;
তবু কি জানি,মানুষ এখানে,
আজও এক যুদ্ধে ভোগে।
আসে না রোজ বিকেলে মৃত্যু সংবাদ,
বেওয়ারিশ কংকাল ঘরে না শহর জুড়ে;
ক্ষত থেকে রক্তও ঝরে না আজ,
এ যুদ্ধ অহর্নিশ,প্রতি দিন ও রাতে।
লুপ্ত হয়েছে গঙ্গাতীরের সুবিশাল পোতাশ্রয়,
হারিয়ে গেছে হুগলী নদীর তীর;
যেমনটি ঠিক বঙ্গবাসীর লুপ্ত চেতনা,
আর কর্মভীরুতারই সব প্রতীক।
তবু আজও দেখি ,লৌহস্তম্ভগুলি সেই,
গঙ্গার ধার ঘেসে,লাগেনি একটু ও মরচে তাদের গায়ে;
জেগে আছে আজও তারা,জানে নিশ্চয়-
বঙ্গসৈন্য আসিবে-বান্ধিবে জাহাজ তাদেরই স্কন্ধে।
যদিও বা সময় এখন ,শুধু ই এগিয়ে যাওয়ার,
তবু ও তো আজ গুনতে বসেছি,
হিসেব তোমার আমার।
পড়বে যখন লেখাখানি,বুঝতে পারবে
নিঃশব্দে-হিসেব খানি জরুরী যে,
যায়না যে আর থাকা, নির্লিপ্ত একাগ্রে।
বঙ্গ শোণিত মিথ্যা কি তাহলে,
রানার কি শুধু বইএই ছুটে চলে?
সময় এসেছে প্রশ্ন করার,সেদিন সময় পাব না মুহূর্তকালের।
মিথ্যাচার ধ্বংস্বার্থে,ধুমকেতুসম তেজে,
আসবে ধেয়ে ধরার বুকে;
ধ্বংস কালরূপ ধরে।
কঠিন সময়কাল,কাটে না সকল মুহূর্ত-
বিরামরত, সেই দীর্ঘনিঃশ্বাসই অক্সিজেন বদ্ধ ঘরে;
পরে বুঝি সেই ভারী নিঃশ্বাস,এ তাহাঁরই বটে,
ওই দীর্ঘনিঃশ্বাস ,নিশ্চিত আমাদের বঙ্গের।