পঁচাশির বর্ষাটি পূর্ণতা পেল না ।
ইসরোর ইমারতের ঈগল
দুটি চোখে বেঁধে নিয়েছে বিবর্ণ রুমাল ।


ভাস্কর - তাঁকে চেনে ।


গ্রহ-নক্ষত্রের শরীর জুড়ে আগুন-বরফে লেখা-
উড়ুপি, উড়ুপির নাম ।
পয়লা চন্দ্রায়ন, মঙ্গলায়নের আবিরে
অনন্তের হোলি খেলার দিন,
স্মিত হাসিকে আলিঙ্গন করে দেখা তাঁর-
রাষ্ট্রীয় মহাকাশ ।


দুরন্ত ঈগলের তীক্ষ্ম দৃষ্টি তো ছোঁবেই
তারপরই তো অন্তরীক্ষ ছোঁয়া- অ্যাপেল,ইনস্যাট প্রেমে ...।


রোহিনী-ও - তাঁকে চেনে ।


পদ্মবিভূষনে অন্য মহাকাশ ছুঁয়ে যাওয়া একদিন ।


রিমোট সেনসিংয়ের সেন্সেবেল ভালোবাসা
সেলাইনের মতো ঝুলিয়ে,
রাষ্ট্র এডমিশন পেয়েছিল-
হাসপাতালের এক নির্জন বেডে ।
কৃত্রিম উপগ্রহের অ্যান্টিবায়োটিক আদর
যেন- রাতের আড়ালে সফেদ গোলাপের বুক থেকে
কাফন সরিয়ে ভোরের সাম্রাজ্য -
রঙীন শাড়ীর অহংকার !
আরও বেশি কিছু   ......


এই পঁচাশির বর্ষাটি আর পূর্ণতা পেল না ।
হয়তো অপূর্ণতার অথই আঁধারে
সাঁতরে চলেছে ইসরোর ইমারত  !
জানি, পূর্ণ- বেশ - তবুও  ...
একটা সাকার শূন্যতায়  ----


বার্ধক্যের বসন্তে ফোটা শেষ ফুলটি নিয়ে
ফিরে গেলেন মহাকাশে   ...


গল্পটা শেষ ?


কোটি হৃদয়ের হরতন আগলে রেখে দুরন্ত,
উড়ন্ত ঈগল- আর্যভট্টের উড়ুপি -


    কভু যে হারায় না বন্ধু ......।


*** (প্রয়াত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্টের স্রষ্টা এবং মহাকাশ গবেষণার পথিকৃৎ ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান উড়ুপি রামচন্দ্র রাও- এর স্মরনে লেখা)***