বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা
গরম চা-এ স্বপ্ন মাখা
চুলের বেনী কিলিপ আঁটা, প্রেম পাথরের নুড়ি,
তোমার সাথে আমার এখন ভীষণ ছাড়াছাড়ি !


পথের ধূলো কুড়িয়ে নিতে
সারাটি রাত ফেসবুকেতে
শেষ প্রহরে বক্ষে গেঁথে, ঘুম কুসুমের কুঁড়ি,
তোমার সাথে আমার এখন ভীষণ ছাড়াছাড়ি !


তাল-পলাশের শান্ত ছাওয়া
নিত্য তোমার আসা যাওয়া
মাটির তলে চাপা দেওয়া, সুবর্ণ সুখ চুড়ি,
তোমার সাথে এক জীবনের ভীষণ ছাড়াছাড়ি !


কলতলাতে কলসী কাঁখে
ওড়নাখানি ঝুলিয়ে রেখে
মুচকি হাসি তোমার মুখে, অহং গুনে ভারী,
তাই তোমার সাথে হতেই হলো ভীষণ ছাড়াছাড়ি !


সাজলে তুমি অলংকারে
চাঁদ ডুবে যায় দূর পাহাড়ে
না জোছনার নখ নজরে, দিচ্ছি হাতেখড়ি,
তাই তোমার সাথেই হওয়ার ছিল ভীষণ ছাড়াছাড়ি !


তুমি যখন হেমন্তিকা
দোলনা ঘরে দ্রীপ্রশিখা
শিশির ছুঁয়ে কুড়িয়ে রাখা, বিষন্ন দীন ঘুড়ি,
তাই তোমার সাথে এক পৃথিবীর ভীষণ ছাড়াছাড়ি !


ওই সেঁজুতি ব্যাথার বাতি
রাত আঁচলেই দু'হাত পাতি,
আর ফেরো না যাও ছুঁয়ে ঘাস
দূর যেখানে উধাও আকাশ
নিশুত পথে জোনাই গেঁথে রাত্রি হবে চুরি !


তাই হওয়ার ছিল হতেই হলো
ওগো মেয়ে পাখনা মেলো
ভোরের আলোয় সাঙ্গ হলো- ভীষণ ছাড়াছাড়ি !