কথারা বিবর্ণ হলেই কবিতার চোখে নেমে আসে ঘুম ।
কপিরাইট হাসপাতাল :
অক্সিজেন মাস্ক, সেলাইন, প্রেসক্রিপশন, 007 নং বেড ।


মানবতার মদে নেশা হয় না বলে
অসুস্থ সভ্যতা গিলে খায় অপাংক্তেয় অ্যালকোহল ।
শক্ত মাটির বুকে মিথ হয়ে থাকে মিছিলের দেহ ।
অষ্টাদশীর ঘাম কুকুরের যৌবন লেলিয়ে দিলেই
বর্ণপরিচয়ে- চন্দ্রবিন্দুর চাঁদ ।
যোদ্ধার যৌনতায় দাপিয়ে বেড়ায় যক্ষের সংসার ।
শূণ্য থেকে শশ্মান -
ঈশ্বরও বুঝে নেয় স্বার্থের পরিধি ।


অসুস্থ সভ্যতার চিকিৎসা চলে এতকাল ধরে !
ফলমূল হাতে কত শত আত্মীয়দের আনাগোনা
কতকোটি শব্দখরচ, মৃত্যুখরচ ...
লাভের খাতায় বৃত্ত দেখলেই কবিতারা দড়ি চায় ।
সব পূর্ণচ্ছেদ তুলে কথারাও ধরে নেয় কড়িকাঠ ।


ঘুম কম্বলের উষ্ণতা এবার তো জাগুক
তাকে জাগতে দাও উদ্বায়ী বাষ্পের বারান্দায় ।
চেয়ে দেখো, অনন্ত ক্ষেত্রফলের কপিরাইট হাসপাতাল
জেগে আছে কবির চোখে ।


জানি না, কেন কবিরা ক্লান্ত হয় না ???