হে সূর্য, হে আকাশ
অপাপবিদ্ধ ভালোবাসায় যে নক্ষত্রেরা ঝরে যায়,
শতাব্দীর সভ্যতায়
কে জানে-
কতগুলো পরমাণু তার দেহের ভিতর ?
কে জানে-
কতগুলো পরিভাষা তার জ্ঞানের প্রকোষ্ঠে ?


হে সূর্য, হে আকাশ
আমি আজ পুনরাবৃত্তি করব না ।
চেয়ে দেখেছি-
হাত থেকে এগিয়ে আসা আগুন
কিভাবে চিতার কাঠে উৎসব ঢেলে দিল ।
আগুনের বুকে আগুন ।
নক্ষত্রটা নিজেই আগুন ।
কে পোড়ায় তারে  ! কোন নশ্বর হাত !


হে সূর্য, হে আকাশ
শ্মশানের পাশে চোখে জল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা
নীরব আত্মীয়দের তুমি ক্ষমা করে দাও ।
ওদের চোখে ধোঁয়া লেগেছিল তাই ...
পৃথিবীর কেউ কাঁদবে না ।
কেউ বলে গেছে- কাঁদলেই নাকি সব শেষ !


হে সূর্য, হে আকাশ
বহ্মান্ডের বনলতায় কত স্বপন স্বপন নক্ষত্রেরা
জেগে থাকে রাতভোর ।
তারা নীল হয় ।
তারা লাল হয় ।
উপনিষদের উত্তরীয় ঠিক বেঁধে নেয় মহাশূন্যের ঝড় ।


হে সূর্য, হে আকাশ, হে স্বপ্ন
চেয়ে দেখো- কেটে গেছে অনেক প্রহর ।
উড়ে গেছে সাদা পায়রার দল ।
ঝরে ঝরে গেছে কত নক্ষত্রের বন ।
এবার তো দাও
এবার তো দাও নির্মোহ সন্ন্যাস ।
নইলে আমায় কেড়ে নাও


দেখো আমি আগুন নই ।