জীবনের পথে চলতে চলতে কয়েক বছর আগে,
এসেছিল কেউ জীবনের ঘরে সেই স্মৃতি মনে জাগে।
শীতের বিকেলে উত্তুরে হাওয়া বইছিল প্রতিক্ষণে,
লালধূলি পথে হেঁটেছি দু'জনা কাজু কাঁঠালের বনে।
প্রথম যেদিন হয়েছিল দেখা পঁচিশে ডিসেম্বরে,
ভালোবাসা এসে দিয়েছিল ধরা ভগ্ন এই অন্তরে।
প্রথম দেখার পূর্ব সময়ে বন্ধুর বেড়াজালে,
কয়েকটি মাস ছিলাম দু'জনা অগভীর নদীজলে।
তারপর নদী হয়েছে গভীর বেয়েছি প্রেমের খেয়া,
আবেগের মেঘে ঢেকেছিল যেন-সাত জনমের মায়া।
জোয়ার ভাটায় কান্নাহাসিতে ভেসে গেছি একইসাথে,
জীর্ণ শাখেতে ফুটিয়েছি ফুল হাত রেখে দুই হাতে।
যেখানেই থাকি যতদূরে থাকি তোমার এক আহ্বানে
বারেবারে ধরা দিয়েছি গো আমি রাত কিবা দিনমানে।
চেয়েছিল যতো সুখের বরষা অফুরান ভালোবাসা
প্রেমপ্রীতি যত ছিল প্রয়োজন ছিল যত সাধ আশা-
মিটিয়েছি সব তোমার জীবনে হয়েছি নিঃস্ব প্রানী,
কখনো দিইনি জানতে গো আমি ভগ্ন ফুলের দানি!
হঠাৎই সময় থমকে দাঁড়ালো বরষা বিকেল শেষে,
বুকের জড়ানো স্বপ্ন লুটালো উঠোনের ভেজা ঘাসে।
চলে গেলে হায় করে দিয়ে পর জানিনা কি ভুল ছিলো !
সে ভুলে জীবন কষ্ট পরীকে বক্ষে জড়িয়ে নিলো।
কখনো হৃদয় খুঁজলে আমাকে ফিরে আসো তুমি যদি
দেখবে সেদিন স্মৃতি বুকে নিয়ে শুকিয়ে গেছে গো নদী!