ও দিদি, ও দিদি গো, যাও না বলে-
বাংলা কবে হবে গো লন্ডন ?
বইবে কবে টাটকা তাজা টেমস ?


যেই ছুঁড়েছি প্রশ্ন আমি
ড্যাবড্যাবিয়ে অন্তর্যামী- চাইল বটে !


নারীর শরীর ঢাকছে দেখি রাত মশারি
চকচকে সব পায়ের সারি
জঙ্ঘা জানু সব দেখা যায় !
আধেক করে নগ্ন করা- বক্ষ ভারী
ফুটপাতের ওই পুরুষগুলোর দৃষ্টি জুড়ায় !


ও দিদি, ও দিদি গো, যাও না বলে-
লন্ডনে কি নারীগুলো এমন করেই ধর্ষিতা হয় ?
পুরুষগুলোই অপরাধী-
এমনি করেই সময়টা কি হয় অপচয় ?


সত্যি তোমার বাংলা দিদি ... !!!


উন্নয়নের উদর জুড়ে সুভাষনের বীর্য ঠাসা
বন্ধ্যা চুলো, বন্ধ্যা হাঁড়ি, ঘরের কোনে বাজছে কাঁসা !


আর ঝুল লন্ঠন ??


সেটাও তুমি ঝুলিয়ে দিলে
বেকারত্বের কাঁধের পরে !
সূর্য ডোবার শেষ প্রহরে, বললে তুমি-
ফুটবে আবার ভোরের আলো ।
অগোছালো ! ফুটল ঠিকই ।
ফুটল না আর জীবনানন্দের বাংলা আমার !


ওগো দিদি, যেমন জায়গা, যেমন শয্যা
তেমনই শোবার স্বপ্ন দেখাও ।
বাড়তি কেন ??
রক্ত মাখা মায়ের বুকে ঝরছে যেন
শুধুই অভাব !
জলাতঙ্কের জলোচ্ছ্বাসের জাড্য জবাব-
জলবিছুটির জলতরঙ্গ !!
হবে যেদিন নিদ্রাভঙ্গ
ঘামকলমে করবে হিসাব-
ক্ষতির খাতা, লাভের পাতা
দেখবে সবই রক্ত মাখা !
বাংলা আমার থাকবে তবু চিরন্তনী,
লাজুক আলোয় ঢাকবে আঁচল
লাবন্য সুর হৃদয় ভরা লাভে ।
যেটা তোমার কৃপা নয় ।
বিস্তর বোধোদয়ে বলবে সেদিন-
বাংলা আমার সবার উচ্চে রবে ।
দেখবে সেদিন-
বয়ে যাবে হাজার হাজার টেমস
বাঙালির করা অবাধ্য প্রস্রাবে ।।।।