অনুরাধা, খরা চৈতি রোদে
মেঘেদের অন্তর্গৃহের উন্মুক্ত পথে হেঁটে
অবশেষে সন্ধ্যার ক্লান্ত চাঁদ হয়ে গেছি আমি,
তুমি পশ্চিমের সাঁঝতারা শত আলোকবর্ষ দূরে.....
যখন সন্ধ্যার অনু পরমানু দল বাঁধে ধীরে ধীরে :
সহবাস করে, ফোটে কাজল ফুলের পাপড়ী
তখন সাঁঝ প্রদীপের সাথে
তুমিও মিশে থাকো দিগন্তের অন্তর্লোকে ;
সহস্র তারকার ভিড়ে খুঁজে ফিরি তোমার অস্তিত্ব ।
শুধু ব্যর্থ-বিষণ্ণতার চিরচেনা সমুদ্রে
আমার ভাসন্ত খেয়ার পাটাতনে তোমার শরীরের সুঘ্রাণ,
চিন্তনের বোতলে স্মৃতির অ্যালকোহল ।
প্রানময়ী দাবানল নয়ন অন্তঃপুরে
ঝাঁপসা হয়ে আসে রেটিনার দেহ
অনেক বরফ গলে যায় ধীরে ধীরে..........

আমি হাঁটি রাতভর একাকি নিরব কাজল কলঙ্ক বুকে
ক্ষণিকের বসন্ত এনে তুমি তো জলের আল্পনা - সন্ধ্যাপরী !
শহুরে নিয়ন আলোর রেখা ধরে আজও হেঁটে যাই
দেখি আমার শান্ত ছায়ায় তুমি ঘুমন্ত নারী ।
এখনো অনেক অন্ধকার !
অনুরাধা, আমার এলোমেলো পৃথিবীতে জেগে থাকে
শুধু তোমার অস্তিত্বের হাহাকার ।