স্বাধীনতা, জৌহর ব্রতের সেঁজুতি বহ্নির ব্যানকনিতে
তোমার বিদূষী বাগদত্তা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে ক্রমশ ...
নারী নগর-নাগরীকত্ব বিসর্জন দিয়ে
আর চায় না কোনো জীবন জাহাজের লোথাল বন্দর !
টলেমীর ইমায়োসের কোনো সমতলে
বিক্ষত ইস্কাবনের ইগলু, রক্ত মাখা বরফ ...
তাদের শরীর জুড়ে শরীর বিছিয়ে তারা ক্লান্ত !


স্বাধীনতা, শত সহস্র প্রাচীন কালিবঙ্গান
তোমার দিকে চেয়েই শরীর বিছিয়েছিল একদিন
মনে পড়ে ?


তুমি এলে কেন ? বেশ তো ছিল না ভাঙা পৃথিবীটা...


তোমার হাত ধরেই মীরজাফরতায়
মানচিত্র থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে মহেঞ্জোদারোর যৌবন
কত শত নর্ডিক প্রেমের সভ্যতা !


মনে পড়ে সেই দিনটা- যেদিন বেআব্রু করে
চৌরাস্তার মোড়ে তোমার গলায় পরিয়ে দিয়েছিল
গিলোটিনের মালা ?
আল্লা-রাম যেদিন এক আত্মীকরনে ভেদ করেছিল
সমস্ত রহস্যের রাজপথ ?
মনে পড়ে ? দিনের শেষে চৈত্রের চৈতালীর মতো
তোমাকে ঘরে তোলার লড়াই ?


কি লাভ হলো ?
আড়ালে আবডালে বেপরোয়া ব্রিটিশিয়ানায় প্রসব হল
গিলোটিন গনতন্ত্র  
এই লাভ !


এলে কেন এভাবে ?
তোমার শরীর থেকে রক্ত মুছতে মুছতে
কতজন ধুয়ে মুছে গেছে কালের প্লাবনে- হিসেব রেখেছে তার ?


নিষ্প্রয়োজন চাঁদের জ্যোৎস্না মাখা অভ্যাস
এখনও পোষা থাকে বাঙালিয়ানায় !
স্বাধীনতা, তাই তোমাকেই খুঁজে চলা
চানহুদাড়োর হারানো চাবিগাছার খোঁজ বুকে নিয়ে ...


কাল শুনেছি- শশ্মানের পাশে জ্বলন্ত দেহকে ঘিরে থাকা
মৌন আত্মীয়দের ফিসফাস :
তোমার অটোগ্রাফের উপকূল চিরন্তন জলধির নোনা জোয়ার এসে
গর্ভবতী করলেই নাকি মৃত্যুর দেখা মেলে  ... !